চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি রাখা হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বাড়ায় কৃষককে কিছুটা স্বস্তি দিতে সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা করছে সরকার। এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তায় উৎপাদন বাড়াতে কৃষি গবেষণা কার্যক্রমেও অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এদিকে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকারিভাবে সংগ্রহে ধান-চালের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার।
কৃষি খাতে নেওয়া সরকারের উদ্যোগের অগ্রগতি বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি ভর্তুকি খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজার সারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়। সংশোধিত বাজেটে তা আরও বাড়িয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে। কৃষি ভর্তুকির অধিকাংশই যায় সারে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বেড়ে চলা খাদ্য সংকট বিশ্বকে একটি মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। যুদ্ধের কারণে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক মজুত কমার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাতের ফলে বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। আর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান ডেভিড বিসলি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যের দাম এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে, তা বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।