রাজধানীতেই সবকিছু থাকতে হবে কেন?

যুগান্তর বদিউর রহমান প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ১৬:১৬

দেশের উন্নয়ন নিয়ে উন্নয়নবিশারদদের নানারকম জ্ঞানগর্ভ ধ্যানধারণা থাকতে পারে। থাকাটা স্বাভাবিকও বটে। যে কোনো বিষয়ে বিশারদ আর বিশেষজ্ঞের আঁতেল মার্কা থিসিস ও পরামর্শ আমাদের শুধু প্রলুব্ধ করে না, মাঝেমধ্যে অবাক ও হতবাক দুটিই করে দেয়। কিন্তু কোনটা কতটা বাস্তবভিত্তিক, তা যাচাই করে দেখলে আমরা আমজনতা অনেক সময়েই খেই হারিয়ে ফেলি। হালে আবার গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দেন এমন নেতারাও উন্নয়ন নিয়ে নিজস্ব চিন্তাচেতনা শুধু প্রকাশই করেন না, তা অনেকটা গোঁ নিয়ে বাস্তবায়নের পথেও হাঁটেন। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সত্যি জ্ঞানবান ব্যক্তিরা তখন ওই নেতাদের দোহারি সেজে অনিচ্ছায় হলেও সায় দেন।


ঢাকাকে তিলোত্তমা করার মানসে একেক সময়ে একেক চিন্তা বাস্তবায়নের কসরত কম করা হয় না। তবে দীর্ঘমেয়াদে এসব চিন্তার ফলপ্রসূতা নিয়ে প্রায়ই ভাবা হয় না। এই যেমন বক্স-কালভার্ট করা নিয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তেমনই ঢাকার অনেক খাল ও পুকুর ভরাট করে ফেলা নিয়েও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কেবল মাঠ আর দালান করার জন্য, রাস্তাঘাট বাড়ানোর জন্য, এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য পানির আধার এসব পুকুর ও খাল ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ফলে শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশই নষ্ট হয়নি, ঢাকার সৌন্দর্যও নষ্ট হয়েছে। অথচ এগুলো থাকলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা যেমন কিছুটা হলেও কমত, তেমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বহাল থাকত। ছোট একটি উদাহরণ দিলে দেখা যাবে, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের বড় পুকুরটি ভরাটের কোনো প্রয়োজন ছিল না, ওটা থাকলেই বরং সৌন্দর্য বজায় থাকত; মৎস্য ভবনের বড় ডোবাটাও থাকতে পারত, রাসেল স্কয়ার থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত নির্মিত পান্থপথের বিলটি সংরক্ষণ করা যেত। ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য নতুন নতুন রাস্তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং ভবন সম্প্রসারণের তাগিদে এসব করা হলেও ঢাকামুখী জনজটের চাপে যানজট তো কমেইনি, বরং অযথা ঢাকাকে একটা গিজগিজে বস্তিতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এ অসহনীয় অবস্থা থেকে ঢাকাকে রক্ষা করার জন্য ঢাকা ভাঙার (বিকেন্দ্রীকরণ) প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে উপলব্ধি করা বিশেষ প্রয়োজন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us