পোশাক খাতের মতো অন্যান্য রপ্তানি খাতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার। এ বিষয়ে রপ্তানিকারক সংগঠনগুলোর দাবি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিস্তারিত পর্যালোচনার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গতকাল গণভবনে রপ্তানি-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য উৎসে করে ছাড় চেয়েছেন রপ্তানিকারকরা। বর্তমানে রপ্তানি আয়ের ওপর ১ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে রপ্তানিকারকরা এ হার ৫ বছরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণের অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া ম্যানমেইড ফাইবার পোশাকের উৎপাদন বাড়ানো এবং রিসাইকেল্ড পণ্য এবং সার্কুলার ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নীতি সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা। আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে সব খাতের রপ্তানিকারকদের বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০২৬ সালের পর এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এখনকার মতো শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে এ সুবিধা উঠে যাবে ২০২৯ সালে। এ ছাড়া ঔষধ শিল্পে মেধাস্বত্বের বিধানে যে ছাড় রয়েছে তাও উঠে যাবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে নানা উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। এর অংশ হিসেবেই গত বছরের এপ্রিলে রপ্তানি সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কমিটির সভাপতি।