গত ১২ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হলো গ্লুকোমা সপ্তাহ। প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘আপনার দৃষ্টি রক্ষা করুন, সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করুন। সত্যিকার অর্থে, চোখের আলো কারও একবার নিঃশেষ হয়ে গেলে, অন্ধত্ব বরণ করলে তার চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হয় না। গ্লুকোমা রোগটি কখনো সারিয়ে তোলা যায়। বলা যায়, এটি একটি অনিরামযোগ্য রোগ। বিশ্বের প্রায় ৫ কোটি মানুষ গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্বের শিকার এবং ৮ কোটি মানুষ গ্লুকোমায় আক্রান্ত, যার বেশির ভাগই এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় বসবাস করে। ২০৪০ সাল নাগাদ যা ১২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা যায়। দুঃখের বিষয় হলো, এত জনগোষ্ঠীর ৯০ ভাগ মানুষই রোগটি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না।
গ্লুকোমা আসলে কী : গ্লুকোমা চোখের প্রধান স্নায়ুরজ্জুর (অপটিক নার্ভ) একটি রোগ, যেখানে স্নায়ুরজ্জু ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে, দৃষ্টির পরিসীমা ক্রমাগত সংকুচিত হতে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যাক্তি সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে অন্ধত্ব বরণ করেন। এ রোগের সঠিক কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জানা যায়নি। তবে চোখের অন্তর্গত উচ্চচাপ প্রধানতম ঝুঁকি বলে মনে করা হয়। অন্যান্য যেসব ঝুঁকির কারণে এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে তা হলো বংশগত ইতিহাস (মা-বাবা, ভাইবোন এ রোগে আক্রান্ত হলে তাদের ক্ষেত্রে ৩০%-৪০%), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইনাস বা প্লাস পাওয়ার, মাইগ্রেন, চোখের আঘাত, চোখের অন্যান্য রোগ এবং চিকিৎসকের উপদেশ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিতভাবে স্টেরয়েড জাতীয় চোখের ড্রপ ব্যবহারের কারণে গ্লুকোমাজনিত সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।