কোথায় গিয়ে থামবেন বিরাট কোহলি—এমন একটা প্রশ্ন ক্রিকেট বিশ্বে অনেক আগে থেকেই ঘুরছে। মাঝে কোহলির ব্যাটে যখন রানখরা চলছিল, আলোচনাটা তখন কিছুটা স্তিমিত ছিল। কিন্তু কোহলির ব্যাটে রানের ধারা ফেরায় আবার ঘুরছে সেই প্রশ্ন।
প্রশ্নটা আসলে কোহলির রান আর সেঞ্চুরি নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে বেশি রানের মালিক শচীন টেন্ডুলকার। কিংবদন্তি এই ভারতীয় ক্রিকেটার টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে করেছেন ৩৪৩৫৭ রান। অনেকেই মনে করেন এই রান টপকে যাবেন কোহলি। ২৫২৩৩ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এই মুহূর্তে ষষ্ঠ স্থানে আছেন ভারতের ব্যাটসম্যান।
এই তালিকায় টেন্ডুলকার ও তাঁর মাঝে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা (২৮০১৬), রিকি পন্টিং (২৭৪৮৩), মাহেলা জয়াবর্ধনে (২৫৯৫৭) ও জ্যাক ক্যালিস (২৫৫৩৪)। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে ভারত। এ সিরিজে কোহলিকে হাতছানি দিচ্ছে ওয়ানডেতে ১৩০০০ রানের মাইলফলক।
ওয়ানডেতেও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি টেন্ডুলকারের। ৪৬৩ ম্যাচে ১৮৪২৬ রান তাঁর। এ তালিকায় ১২৮০৯ রান নিয়ে কোহলি আছেন পঞ্চম স্থানে। তাঁর আর টেন্ডুলকারের মাঝে আছেন সাঙ্গাকারা, পন্টিং ও সনাৎ জয়াসুরিয়া।
কোহলির জন্য ওয়ানডেতে যেমন ১৩০০০ রানের মাইলফলকের হাতছানি, আগামীকাল থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের জন্যও তেমন বিষয় আছে।
সাকিব ও মুশফিকের সামনে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭০০০ রানের মাইলফলকের হাতছানি। ৭ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে সাকিবের প্রয়োজন ২৪ রান। আর মুশফিকের রান এখন ৬৯০১, ৭ হাজারের ক্লাবে ঢুকতে লাগবে ৯৯ রান।
৭ হাজার রানের মাইলফলকে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এর আগে একজনই পৌঁছেছেন। সেই একজন তামিম ইকবাল। ২৩২ ওয়ানডে খেলে তামিম ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫৫টি ফিফটিতে করেছেন ৮১৪৩ রান।
সাকিব ৬৯৭৬ রান করেছেন ২২৭টি ওয়ানডে খেলে। সেঞ্চুরি করেছেন ৯টি, ফিফটি ৫২টি। আর মুশফিকের ৬৯০১ রান ৮ সেঞ্চুরি ও ৪৩টি ফিফটিতে ২৪২ ম্যাচ খেলে।