ঝালকাঠির রাজাপুরে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে জবাই করে ৯৯৯-এ ফােন দিয়ে পুলিশের কাছে জানালাে স্ত্রী।
রোববার (১২ মার্চ) দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী সােনালীমােড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাে. রবিউল আউয়াল তালুকদার (৩৯) ওই এলাকার মত আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে।
রবিউলের স্ত্রীর সাফিয়া আক্তার শরিয়তপুর জেলার নলা থানার মাঝির হাট ইউনিয়নের নেসাশন গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহে রবিউল ও তার স্ত্রী সাফিয়ার মধ্যে কিছু দিন ধরে সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জেরে ঘটনার দিন রোববার রাতে সাফিয়া খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় রবিউলকে। রাত দেড়টার দিকে হাত-পা, মুখ বেধে ধারালাে ছুরি দিয়ে বিছানায় ঘুমের মধ্যে রবিউলকে জবাই করে সাফিয়া।
পরে ৯৯৯-এ ফােন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পুলিশ রাত ৩টার দিক ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারসহ সাফিয়াকে আটক করে। হত্যার দায় স্বীকার করে সাফিয়া দাবি করেন তার স্বামী আড়াই মাস আগে দ্বিতীয় বিবাহ করে জমিজমা ওই স্ত্রীর নামে লিখে দেয়। সাফিয়া তার দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে সাফিয়া পুলিশের কাছে জানান।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, ২০০৫ সালে রবিউল ও সাফিয়া প্রেমের সর্ম্পকে ঢাকায় বিবাহ করেন। তাদের দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে রাফিন (১৬) নবম শ্রেণিতে পড়ে আর ছােট ছেলে সাকিব (১২) ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। রবিউল ইজিবাইক চালিয়ে ছেলেদের লেখাপড়া ও সংসার চালাতাে। বর্তমানে রবিউল ২য় বিবাহ করেছে বলে সাফিয়া সন্দেহ করে আসছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতা। ঘটনার দিন রোববার সন্ধ্যা থেকেই সাফিয়া তার স্বামীর প্রতি খুব ক্ষিপ্ত ছিল এবং বাড়ির সামনে স্বামীর জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে হাত থাকা দাও দিয়ে রাস্তার পাশের চারটি কলাগাছও কেটে ফেলে। পরে রাত ৩টার দিকে এলাকায় পুলিশ এসে তাদের জানায় সাফিয়া তার স্বামী রবিউলকে হত্যা করেছে।