স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। এতে পঙ্গুত্ব ও মৃত্যুঝুঁকি বেশি। এখন আর বয়স্কদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি সীমাবদ্ধ নেই, কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এটি।
স্ট্রোক মূলত মস্তিষ্কে ঘটে। কিছু রক্তনালি মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছে দেয়। এই নালির মধ্যে কোনো কারণে বাঁধা তৈরি হলে বা ছিঁড়ে গেলে রক্ত পৌঁছাতে পারে না নির্দিষ্ট জায়গায়। ফলে সেই অংশের কোষ রক্তের অভাবে দ্রুত মরে যায়। এভাবেই স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
যে কোনো সময় হঠাৎ করেই হতে পারে স্ট্রোক। বিশেষ করে যারা অনিয়মিত জীবনযাপন করেন কিংবা স্থূলকায় তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।
স্ট্রোকের আগে চোখে কেন পরিবর্তন ঘটে?
মস্তিষ্কের রক্তনালির ব্লকেজগুলো দৃষ্টিশক্তিতে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটাতে পারে যেমন- ঝাপসা, অন্ধকার বা অস্পষ্ট দেখা ইত্যাদি।
তথ্য অনুসারে, স্ট্রোকের পর দৃষ্টিশক্তি ৮০ শতাংশ সময় ফিরে আসতে পারে, আবার অনেকে অন্ধত্ববরণও করতে পারেন।
যদি চিকিৎসা বিলম্বিত হয়, তাহলে অপটিক স্নায়ুর সামনের অংশে অবস্থিত টিস্যুতে রক্ত প্রবাহের অভাবের কারণে দৃষ্টিশক্তির জন্য মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।
যখন অপটিক স্নায়ু সম্পূর্ণরূপে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন এটি স্নায়ু টিস্যুর ক্ষতি করে। ফলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে।
পেন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট অনুসারে, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ লোকই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক চোখে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তবে চোখে কোনো যন্ত্রণা হয় না।
ওয়েবসাইটের তথ্যে আরও জানানো হয়েছে, এক্ষেত্রে চোখে অন্ধকার বা ঝাপসা দেখা কিংবা আলোর প্রতি সংবেদনশীলতাও দেখা দেয়।
পেন মেডিসিনের মতে, যাদের উল্লেখযোগ্য কার্ডিওভাসকুলার রোগ আছে ও ভায়াগ্রা ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।
যারা হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন তাদের জরুরিভাবে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করা উচিত।