বিয়ে মানেই নতুন জীবন, নতুন সম্পর্ক। নতুন জীবনকে ঘিরে যেমন থাকে অনাবিল স্বপ্নের হাতছানি, তেমনি কাজ করে নানা রকম শঙ্কা। দেখা যায় বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তুতি থাকলেও বর-কনের মানসিক প্রস্তুতির বিষয়টি অনেকেই ভুলে যান। ভবিষ্যৎ জীবনের ভীতি কাটিয়ে ওঠার জন্য বর-কনে উভয়ের প্রয়োজন মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া।
- ছেলে মেয়ে দুজনকেই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা থাকতে হবে।
- বিয়ের পর পরিবর্তন আসবেই। সেই পরিবর্তনকে ইতিবাচক মনে করাই ভালো।
- বিয়ের আগে বর কনের পারস্পারিক জানাশোনা থাকা চাই। পারিবারিক আয়োজনের বিয়ের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি জরুরি। কারণ পরস্পরকে না জানলে বিয়ে পরবর্তী বোঝাপড়া নিয়ে সংশয় দেখা দিতে পারে।
- কেবল বর-কনে নয়, পরিবারের বাকি সদস্যদেরকেও ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে। নতুন সদস্যকে মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে তাদের।
- বিয়ের পর উভয় পরিবারই নতুন সদস্যদের কাছ থেকে দায়িত্বপূর্ণ আচরণ আশা করে, মনে রাখতে হবে এটা।
- বিয়ে পরবর্তী ভীতি একজন মেয়ের বেশি থাকে। কারণ তাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হয়। এ ভীতি কাটানোর জন্য ছেলে ও তার পরিবারকে সহযোগিতাপরায়ণ হতে হবে। মেয়ের কোনও কাজে ভুল হলে সেটা সংশোধন করে দিতে হবে এবং অযথা দোষ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- স্বভাবে কোন নেতিবাচক দিক থাকলে বিয়ের আগেই সেটা পরস্পরের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে শুধরে নেওয়া জরুরি।
- বিয়ের আগে অন্য পরিবারের প্রতিটি সদস্য সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
- প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রেও চাই মানসিক প্রস্তুতি। কারণ বাস্তবতা সম্পর্কে বোধ না থাকলে সেটা পরবর্তীতে দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- খুব বেশি কল্পনাপ্রবণ হওয়াটা অনুচিত। কারণ দেখা যায় অনেক সময়ই কল্পনা ও বাস্তবতা মেলে না। তখন দেখা দেয় অশান্তি।
- বর ও কনে উভয়কেই সম্পর্ক ও দায়িত্ব সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।