নামের পাশে ২৯৬ উইকেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। এই বাঁহাতি স্পিনার আরও একবার দেখালেন বল হাতে ভেলকি। একে একে ফেরালেন ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট, জেসন রয়, জেমস ভিন্স ও রেহান আহমেদকে। এতে ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন তিনি।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নতুন আরেকটি অর্জনের মালিক হয়েছেন সাকিব। বাংলাদেশের সেরা তারকা ছুঁয়ে ফেলেছেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক। সেজন্য ৩৫ বছর বয়সী অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের লেগেছে ২২৭ ম্যাচ।
ইংলিশ ওপেনার সল্টকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে এদিন শুরু হয় সাকিবের উইকেট উৎসব। আরেক ওপেনার রয়কে করেন বোল্ড। এরপর বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আভাস দেওয়া ভিন্সকে তিনি ফেরান দারুণ এক ডেলিভারিতে। ম্যাচে তার চতুর্থ ও সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩০০তম শিকার হন রেহান। অভিষিক্ত এই বোলিং অলরাউন্ডার অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে মেরেছিলেন। শর্ট মিডউইকেটে অসাধারণ এক নিচু ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
২০০৬ সালের ৬ অগাস্ট হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। ওই ম্যাচেই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের স্বাদ তিনি পেয়েছিলেন। তার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এলটন চিগুম্বুরা। ২০১০ সালে সাকিব নেন শততম উইকেট। ডাম্বুলায় এশিয়া কাপের ম্যাচে তাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে পাকিস্তানের আসাদ শফিক হয়েছিলেন স্টাম্পড।
২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাকিবের ২০০তম শিকার ছিলেন হাশিম আমলা। চট্টগ্রামেই টার্নে পরাস্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার ক্যাচ দিয়েছিলেন মুশফিকের হাতে। প্রায় আট বছরের ব্যবধানে এদিন তিনশ উইকেট পূর্ণ হয়েছে সাকিবের।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড সাকিব নিজের করে নেন ২০২১ সালে। হারারেতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। টপ এজ হয়ে তাসকিন আহমেদের তালুবন্দি হওয়া ব্রেন্ডন টেইলর ছিলেন সাকিবের ২৭০তম শিকার। ফলে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে টপকে চূড়ায় পৌঁছে যান তিনি। ২০২০ সালে শেষ ওয়ানডে খেলা মাশরাফি ২১৮ ম্যাচে নিয়েছেন ২৬৯ উইকেট।
এই সংস্করণে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ৩০০ উইকেট নেওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার সাকিব। শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা সনাথ জয়সুরিয়া ৪৪৫ ম্যাচে পেয়েছেন ৩২৩ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি ৩০৫ উইকেট নিয়েছেন ২৯৫ ম্যাচে।