রপ্তানিতে বাড়তি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা হাতিয়ে নিতে কারসাজি করার অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু পাটপণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তারা সাধারণ পাটপণ্যকে বিশেষ ধরনের পণ্য হিসেবে দেখিয়ে রপ্তানি করছে, যাতে নগদ সহায়তা বেশি নেওয়া যায়।
কোনো কোনো পাটপণ্যে সরকার প্রতি ১০০ টাকা রপ্তানির বিপরীতে ৭ টাকা ভর্তুকি দেয়, কোনোটিতে দেয় ২০ টাকা। সরকারের অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও ব্যবসায়ীদের দাবি, সাধারণ পাটপণ্যকে বিশেষ পাটপণ্য হিসেবে রপ্তানি দেখিয়ে বিগত চার অর্থবছরে এক হাজার কোটি টাকা বাড়তি নগদ সহায়তা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে নিরীক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
পাটপণ্য রপ্তানিতে যে কারসাজি হচ্ছে, তা নিয়ে সোচ্চার এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠনই। তারা জালিয়াতি বন্ধ করতে পাট মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে গেছে। অভিযোগের বিষয়টি জানেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। অজানা নয় পাটসচিব আব্দুর রউফেরও। কিন্তু তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নেননি।