সময়টা ভালো কাটছিল না একদমই। জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য থেকে ছিটকে পড়েছিলেন স্কোয়াডের বাইরে।
সাদমান ইসলাম এবার খুঁজে পেলেন নিজেকে। প্রথম দিনে সেঞ্চুরির দেখাও পেয়েছিলেন, দ্বিতীয় দিনে সেটাকে টেনে নিয়ে করেছেন দ্বিশতক। তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করেছেন মার্শাল আইয়ুবও। তাদের ব্যাটে চড়ে রীতিমতো রান পাহাড়ে চড়েছে দক্ষিণাঞ্চল।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চল। দ্বিতীয় দিনশেষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণাঞ্চল। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৩ রান করে কোনো উইকেট হারায়নি মধ্যাঞ্চল।
৩ উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু দক্ষিণাঞ্চল। দিনের শুরুতেই অবশ্য তারা হারায় অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে। ৬১ রান করে যোগ করতেই ফজলে মাহমুদ কট বিহাইন্ড হন মুশফিক হাসানের বলে। আগের দিনের হাফ সেঞ্চুরিয়ানের ফেরায় ভেঙে যায় ১৫৪ রানের জুটি।
এরপর দলকে এগিয়ে নেন সাদমান ও মার্শাল। ৩৯৪ বলে নিজের দ্বিশতক পূর্ণ করেন সাদমান। তাদের জুটি দেড়শ পেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে আরও। এই দুইজনের প্রতিরোধ দ্বিতীয় সেশনেও ভাঙতে পারেনি মধ্যাঞ্চল। তৃতীয় সেশনের শুরুতে ১৯৭ বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মার্শাল।
কিছুক্ষণ পর সাদমানকে কট বিহাইন্ড করে ২১৮ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর পাঁচশ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল।