ত্রিশ শতকের মহামন্দার মহাচিকিৎসক অর্থনীতিবিদ জন এম কেইনস বলতেন, ‘আমি অচল ঘড়ির কাঁটা নই যে, একই জায়গায় থেমে থাকব; আমি সচল ঘড়ি, অবস্থা যখন পাল্টায়, আমি আমার মত পরিবর্তন করি। আপনি কী করেন জনাব?’
আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীতে তথা বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র কি সম্ভব এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই হয়তো জন মেইনারড কেইনসের মন্তব্যের দ্বারস্থ হবেন।
এক
‘সমাজতন্ত্র’ নামক শব্দটি কিংবা সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ধারণা, এক কালে আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এবং স্বাধীনতা-উত্তর ক’টা বছর গ্রাম-শহর, ধনী-গরিব, ডান ও বামসবখানে, সব জায়গায়, সবার করোটিতে সমাজতন্ত্র জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়। তবে কেউ হুজুগে, কেউ সুযোগে এবং কেউ অন্তরের অন্তস্তল থেকে বিশ্বাসে ভর করে। তৎকালীন সিনেমা, নাটক, উপন্যাস কিংবা গানে সমাজতন্ত্রের মূল চেতনার সন্ধান পাওয়া যেত; যা ছিল ‘কেউ খাবে তো কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না।’