বিয়ের দিন পাকা হওয়ার আগেই এখন প্রি-ওয়েডিং ফোটোশুটের দিন স্থির করে ফেলেন হবু দম্পতিরা। পশ্চিমি কায়দার অনুকরণ হলেও বিয়ের আগে কপোত-কপোতীদের বিশেষ এই ফোটোশুটের ইদানীং বেশ চল হয়েছে। বিয়ের বা়জেট যেমনই হোক, তার মধ্যে এই প্রি-ওয়েডিং কিন্তু নিজের আসন বেশ পাকা করে ফেলেছে। বিয়ের আগের বিশেষ কিছু মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করতেই বিশেষ এই ফোটোশুটের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিয়ের একগাদা খরচের মধ্যে আলাদা করে বাইরে গিয়ে শুট করা তো সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই চেনা শহরের সেরা পাঁচ অচেনা জায়গা ধরে দিল আনন্দবাজার অনলাইন।
খরচ বাঁচিয়ে তিলোত্তমার সৌন্দর্যে হবু দম্পতিদের বিশেষ মুহূর্তগুলি ধরে রাখতে কোথায় কোথায় যাবেন?
১) ট্রাম ডিপো
স্কুল থেকে ট্রামে চড়ে একসঙ্গে বাড়ি ফেরা। তার পর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে দু’জনের আলাদা কর্মক্ষেত্র। কিন্তু ‘দাম্পত্যের শক্ত মানেটা’ বুঝে ওঠার আগে সেই ছোট্টবেলার ভাল লাগাকে আবার ফিরে পেতে ফাঁকা ট্রামে চড়ে বা ডিপো থেকে ট্রাম বেরোনোর আগে কিছু ছবি তোলা যেতেই পারে।
২) কলেজ স্ট্রিট
কলেজ আলাদা ছিল, তাই খুব একটা দেখাসাক্ষাৎ হত না। কিন্তু বই কিনতে যাওয়ার নাম করে সপ্তাহে একটা দিন কলেজ স্ট্রিটে যাওয়া ছিল অবধারিত। তার পর একটা গ্লাস থেকে ভাগাভাগি করে খাওয়া ‘প্যারামাউন্ট’-এর ডাব শরবত আর পকেটে রেস্ত থাকলে মাঝেমধ্যে কফি হাউসের কাটলেট। কলেজবেলার পুরনো সেই স্মৃতি জিইয়ে রাখতে হাতে হাত রেখে বইপাড়ায় ছবি তুললে মন্দ লাগবে না।
৩) কলেজ ক্যাম্পাস
কোনও কোনও যুগলের ভাল লাগাটা ভালবাসায় পরিণত হয় কলেজে এসে। তার পর একসঙ্গে কলেজ ফেস্ট, কলেজে সিঁড়িতে বসে ‘ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা’— সবই হয়েছিল কোনও এক কালে। নতুন জীবনে পা দেওয়ার আগে কলেজের সেই সিঁড়িতে বসেই না হয় এক বার নিজেদের ‘বেকার’ ছেলেবেলাকে ধরে রাখা যাক।
৪) উত্তর কলকাতার অলিগলি
স্কুল-কলেজের পাঠ শেষ করে বিদেশে গিয়েছিলেন উচ্চশিক্ষার জন্য। সেই ডিগ্রি পেয়েছেন। সঙ্গে কলকাতা বলতে অজ্ঞান, একখান বিদেশি ছোকরাও জুটেছে। কিন্তু তিনি বিয়ে করবেন একটি শর্তে। বিয়ের আগে তাঁকে পুরোনো কলকাতা ঘুরিয়ে দেখাতে হবে। ব্যস! এক ঢিলে দুই পাখি। পুরোনো কলকাতা দেখা আর বিয়ের আগের ফোটোশুট, দুই করে নেওয়া যেতে পারে। শহরের বিশেষ কিছু জায়গা বেছে নিন। সে শ্যামবাজার মোড় হোক বা কষা মাংসের জন্য বিখ্যাত গোলবাড়ি— এ শহরের গন্ধ লেগে সর্বত্র।
৫) কুমারটুলি
সারা বছর ধরে কোনও না কোনও পুজো লেগে থাকে শহরে। তাই কুমারটুলির মতো ব্যস্ত পাড়াতেও কিন্তু আজকাল কপোত-কপোতীদের ভিড় লেগেই থাকে। কাঠামো থেকে মূর্তি হয়ে ওঠার ব্যাকড্রপে হবু দম্পতিদের ছবি মন্দ লাগবে না। সঙ্গে পুজোর আমেজ থাকলে তো আরও ভাল।