অতিমারির পর এখনও পর্যন্ত তাঁর ৫টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। বলা যায় কেরিয়ারের এই মোড়ে প্রতিটা মুহূর্তু উপভোগ করছেন অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিংহ। গত বছর তাঁর কোনও ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। আবার ‘ছত্রিওয়ালি’র মতো ছবি মুক্তি পেয়েছে ওটিটিতে। সাম্প্রতিক অতীতে বলিউডে কোনও ছবির সাফল্যকে বক্স অফিসের নিরিখে মাপার প্রবণতা শুরু হয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি সহমত হতে পারছেন না রকুল।
ওটিটিতে ছবি মুক্তি মানেই যে সেই ছবি ভাল নয়, সে কথা বিশ্বাস করেন না রকুল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলে রকুল বলেন, ‘‘শেরশাহ বা ফ্রেডি নিয়ে তো যথেষ্ট চর্চা হয়েছে। আসলে, প্রেক্ষাগৃহ হোক বা ওটিটি, দর্শক ভাল ছবি ঠিকই খুঁজে নেবেন।’’ প্রসঙ্গত, রকুল উল্লিখিত দুটো ছবিই ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছিল। তবে বক্স অফিসের গুরুত্ব সম্পর্কেও রকুল যথেষ্ট সচেতন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রেক্ষাগৃহের ক্ষেত্রে বক্স অফিস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজকে আমরা যে সময়ের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছি, সেখানে বক্স অফিসই ভাল ছবির একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না।’’
এ দিকে ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তা বোঝাতে বক্স অফিসের পরিসংখ্যানই তুলে ধরা হয়। এই প্রসঙ্গে রকুল অবশ্য অতিমারিকেই দায়ী করছেন। অভিনেত্রীর মতে, বিগত দু’বছরের জমে থাকা একাধিক ছবি এখন পর পর মুক্তি পাচ্ছে। প্রতি মাসে দর্শকের পক্ষে ছবি দেখা সম্ভব নয়। পাশাপাশি ‘রানওয়ে ৩৪’-এর অভিনেত্রীর যুক্তি, ‘‘দক্ষিণে টিকিটের মূল্য নির্ধারণে সরকারের গুরুপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের এখানে সেটা নেই। তাই দর্শকের একটা বড় অংশ হয়তো মাসে একটা ছবি দেখেন। তার মানে আবার এটা নয় যে, দর্শক ছবিটা দেখলেন না মানেই সেটা খারাপ।’’