আইটেম গানে নাচার প্রস্তাব ফিরিয়েছেন, কারও বিয়েতে গিয়ে নাচতে চাননি কিংবা মাঝরাতে নায়কদের ঘরে গিয়েও ঢোকেননি। তাই কি বলিউড তাঁর উপর খেপে? সমাজমাধ্যমে প্রসঙ্গটি আবার ফিরিয়ে আনলেন কঙ্গনা রানাউত। জানালেন, আত্মমর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে চলতি হাওয়ায় গা ভাসাননি তিনি। জনপ্রিয় নায়িকা হতে যা করতে হয়, তা তিনি করেননি। তাই ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে একঘরে করেছে বলে দাবি কঙ্গনার। টুইট করে ‘কুইন’ লিখলেন, “ঠোঁটকাটা, দুর্বিনীত বলে আমার বদনাম আছে ইন্ডাস্ট্রিতে। তার কারণ, আমি আইটেম গানে নাচিনি, বিয়েবাড়িতেও নাচতে যাইনি। মাঝরাতে কোনও হিরোর ঘরেও ঢুকিনি। যেমনটা আমায় করতে বলা হয়েছিল, তার একটাও করিনি। তাই আমার নামে রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, আমি উন্মাদ। আমায় গারদে পুরে দিত আর একটু হলেই।”
কঙ্গনা এর পর সবার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “এটা ঔদ্ধত্য, না কি ন্যায়পরায়ণতা?” কঙ্গনার দাবি, তাঁকে নত হয়ে সব কিছু মেনে চলতে বলা হয়েছিল। তাঁর কথায়, “কিন্তু আমি তো মর্যাদা খুইয়ে খ্যাতি চাইনি! কঠোর পরিশ্রম করে সর্বস্ব বন্ধক রেখে আমি একটাই ছবি বানিয়েছি, যেটা বানাতে চেয়েছিলাম।”
সদ্য শেষ করেছেন ঐতিহাসিক ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ ছবির শুটিং। ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’র পর ফের পরিচালকের চেয়ারে কঙ্গনা। সঙ্গে ছবির প্রযোজনায় কঙ্গনারই প্রযোজনা সংস্থা ‘মণিকর্ণিকা ফিল্মস’। কঙ্গনা জানান, এই ছবি করতে গিয়ে একাধিক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। ডেঙ্গিতে ভুগেছেন, শরীর অসুস্থ থাকাকালীনও শুটিং করতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি, ছবির খরচ বহন করতে গিয়ে তাঁকে নিজের সব সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয়েছে বলেও দাবি পদ্মশ্রী পাওয়া অভিনেত্রীর। যদিও লড়াইটা বজায় ছিল শুরু থেকেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেন, “প্রতি মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে গিয়েছি। যখন মুম্বইয়ে পা রেখেছিলাম, সঙ্গে ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। তাই যদি দেউলিয়া হয়ে যাই, আবার শক্তি সঞ্চয় করে ঘুরে দাঁড়াতে পারব, সেই সাহস আছে। টাকাপয়সা, সম্পত্তি আমার কাছে বড় নয়। এ সবের কোনও অর্থ নেই।”