ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকা আবারও পরিদর্শন করবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির (এমএইচপি) চেয়ারম্যান দেভলেত বাহচেলিও থাকবেন তার সঙ্গে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আদিয়ামান প্রদেশের গোলবাসি জেলা ও মালতিয়া প্রদেশের দোগানসেহির জেলা সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে কবে যাবেন পরিদর্শনে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উদ্ধার অভিযান শেষে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ত্রাণ তৎপরতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শীর্ষস্থানীয় তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সফর অব্যাহত রেখেছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত ৪৪ হাজার ৩৭৪ জন এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৯১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে ৭ দশমিক ৮ ও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের তিন সপ্তাহ পরও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) বলছে, ভূমিকম্পের পর অন্তত ৯ হাজার ১৩৬টি আফটার শক হয়েছে। তৃতীয় দফায় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূ-কম্পন আঘাত হেনেছে।
এর আগে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ দিয়ারবাকিরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও উদ্ধার কাজ পরিদর্শনে যান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। সে সময় তিনি বলেন, দেশটির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, যেটি ১৯৯৯ সালের চেয়ে ৩ গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল।
তুরস্কে ভূমিকম্পে ১০টি প্রদেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলো হলো হাতায়, গাজিয়ানতেপ, আদানা, আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, কিলিস, মালত্য, ওসমানিয়া এবং সানলিউরফা।