একটি হোটেলের চুলা থেকে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। ৪৫ মিনিটের আগুনে অন্তত ৫০-৬০টি ঘর পুড়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
আজ রোববার বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৫টা ৩৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ৬০টি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একটি হোটেলের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কুর্মিটোলা ও মোহাম্মদপুরের স্টেশন থেকে ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে এবং ৪৫ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।’
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, ঘর পোড়ায় অনেক ভুক্তভোগী আহাজারি করছেন। অনেক বাসিন্দা হাতের কাছে যা পেয়েছে, তা নিয়েই ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়েছেন।
আকলিমা নামে এক নারী জানান, ঘরে তিনি ছোট মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ আগুন আগুন চিৎকার শুনে মেয়েকে নিয়ে দৌড়ে বের হন। ঘর থেকে তিনি কিছু বের করতে পারেননি।
ফরিদা বেগম নামে শেরপুরের এক নারী জানান, বস্তিতে তাঁর ১৪টি ঘর আছে। সব কটি ঘর পুড়ে গেছে।
দিনাজপুরের রমজান আলী জানান, তিনি বনানীর এক পরিবারের গাড়িচালক। বিকেলে আগুনের ব্যাপারে ফোন পেয়ে বাসা আসেন। তাঁর ঘরের দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
অল্প সময়ের আগুনে মুহূর্তেই নিঃস্ব হয়ে গেছে ৬০টি খেটে খাওয়া পরিবার। এই বস্তিতে বসবাসকারী সবাই শ্রমজীবী মানুষ। তাঁদেরই একজন মহর আলী। তিনি পোশাকশ্রমিক। মহর আলী জানান, ঘটনার সময় তিনি ঘরেই ছিলেন। তাঁর চার লাখ টাকার জিনিসপত্র পুড়েছে।