মাথাব্যথা হয়নি বা হয়না এমন লোক পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মাথাব্যথা সাধারণ জ্বর/সর্দি থেকে শুরু করে হতে পারে ব্রেইন টিউমারের উপসর্গ।
যে ধরনের মাথাব্যথার রোগী বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো-
* মাইগ্রেন
* টেনশন টাইপ মাথাব্যথা
* মাথায় কোনো ইনফেকশনের কারণে মাথাব্যথা যেমন—মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস
* ওষুধের মাত্রা বেশি হয়ে গেলেও মাথাব্যথা হতে পারে
* চোখ, নাক-কান-গলার সমস্যা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেন
পুরুষের চেয়ে নারীরা মাইগ্রেনে বেশি ভোগেন। সাধারণত ১৫-৪০ বছরে এটি বেশি দেখা যায়। মাইগ্রেনে মাথাব্যথার লক্ষণগুলো হলো—
* মাথার যেকোনো একপাশে ব্যথা হয়। একবার একপাশে ব্যথা হলে পরেরবার অন্য পাশেও হতে পারে।
* চার ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যথা স্থায়ী হতে পারে
* মাথার দুই পাশের রক্তনালি বা রগ টন টন করছে বলে মনে হয়
* আলো বা শব্দে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়
* ব্যথা শুরুর আগে চোখের সামনে আলোর নাচানাচি, আঁকাবাঁকা লাইন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে
* অন্ধকারে শুয়ে থাকলে ব্যথার তীব্রতা কমে
টেনশন টাইপ হেডেক
মাথার মাংসপেশির সংকোচনের কারণে এ মাথাব্যথা হয়। এ ধরনের মাথাব্যথার উপসর্গগুলো হলো—
* মাথাজুড়ে ব্যথা হয়
* মাথা চেপে ধরে আছে এমন অনুভূতি হয়
* মাইগ্রেনের মতো ততটা তীব্র ব্যথা হয় না
* এ ধরনের মাথাব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে
* দুশ্চিন্তা, পারিবারিক বা পেশাগত কিংবা মানসিক চাপের সঙ্গে এ ব্যথার সম্পর্ক আছে।
মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস