মেরুদণ্ডে নানা ধরনের রোগ বা সমস্যা হয়, এমনকি এতে টিবি বা যক্ষ্মাও হতে পারে। মেরুদণ্ডের যক্ষ্মা যথাসময়ে চিকিৎসা না করালে রোগী পঙ্গু হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। মেরুদণ্ডের যক্ষ্মা একটি বিশেষ ধরনের যক্ষ্মা, একে পটস ডিজিজও বলা হয়।
মেরুদণ্ডের যে সমস্যাগুলো নিয়ে রোগীরা সাধারণত চিকিৎসকদের কাছে আসেন, সেগুলোর অন্যতম হলো কোমরে ব্যথা। এরপর ঘাড়ে ব্যথা, পিঠে ব্যথা—এসব নিয়ে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই কোমর বা ঘাড়ে ব্যথার জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এগুলো বেশির ভাগই মেকানিক্যাল ব্যথা, মানে ভুল দেহভঙ্গি বা আঘাতজনিত ব্যথা। বিশ্রাম, ব্যথানাশকে সেরে যায়।
তাহলে কোন ধরনের ব্যথা হলে টিবি বা টিউমারের মতো জটিল সমস্যার আশঙ্কা থাকে? কিছু রেড সাইন বা লাল সংকেত আছে, যা থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরি। যেমন
● কোমরের ব্যথা নিচে পায়ে ছড়িয়ে যাওয়া।
● প্রস্রাব-পায়খানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা।
● জ্বর, ওজন হ্রাস, পা দুটো অবশ হয়ে আসা।
● দিন দিন ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকা ইত্যাদি।
লাল সংকেত থাকলে কোমরের ডিস্ক প্রলাপস, যক্ষ্মা বা টিউমার আছে কি না, তা জানতে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার দরকার পড়ে। নিখুঁতভাবে শনাক্ত করতে মেরুদণ্ডের এমআরআই করা জরুরি। এতে রোগ সহজে ধরা পড়ে। কখনো কখনো বায়োপসি করারও দরকার পড়ে।