রক্তে ইউরিক অ্যাসিড জমা মানে অনেক জায়গায় ব্যথা শুরু হওয়া। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ত্যাগ করলে এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন পদ্ধতি বজায় রাখলেই ইউরিক অ্যাসিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ইউরিক অ্যাসিড এখন খুবই সাধারণ সমস্যা। সময়মতো সতর্ক না হলে, কিডনি ও হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ইউরিক অ্যাসিড।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ায় শরীরের অস্থিসন্ধিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আগে এই সমস্যা শুধু বয়স্কদের মধ্যে দেখা গেলেও এখন তরুণরাও এর শিকার হচ্ছে। যখনই পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া হয় তখনই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে থাকা ইউরিক অ্যাসিড হাড়ের অন্থিসন্ধির চারপাশে জমা হয়, যা প্রচণ্ড ব্যথার কারণ হয়। ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে হজম প্রক্রিয়াও বিঘ্নিত হয়। ইউরিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক । সময়মতো ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা ধরা না পড়লে, গুরুতর সমস্যা হতে পারে। শরীরের এমন কয়েকটি জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যথা শুরু হলেই সতর্ক হতে হবে।
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শরীরের যেসব স্থানে যন্ত্রণা বাড়ে-
অস্থিসন্ধিগুলোর কাছে জ্বালাভাব: যখনই শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখনই হাড়ের কাছে বর্জ্য পদার্থ জমতে শুরু করে। এর ফলে অস্থিসন্ধিগুলিতে লালচে ভাব দেখা দেয়। যদি কনুই, হাঁটু বা অন্থিসন্ধির কাছে লালচে ভাব দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে এটি উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রার লক্ষণ।
বুড়ো আঙুল ফুলে যাওয়া: কেউ যদি পায়ের বুড়ো আঙুলে ফোলাভাব বা ভারী অনুভব করেন, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
ফোলা গোড়ালি: ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বাতের সমস্যা শুরু হয়। কারো বাত হলে গোড়ালিও এই ইঙ্গিত দেয়। এমন অবস্থায় পায়ের গোড়ালি ফুলে যায়। গোড়ালি স্পর্শ করলে কাঁটার মতো অনুভূত হয় এবং প্রচণ্ড ব্যথাও হয়। এই সমস্যায় সিঁড়ি দিয়ে উঠতে অনেক অসুবিধা হয়।
হাঁটুর ব্যাথা: বাতের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় হাঁটুতে। ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রথম লক্ষণগুলো হাঁটুতেই দেখা দেয়। হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা হলে এবং সিঁড়ি দিয়ে উঠতে অসুবিধা হলে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
কোমর এবং ঘাড়ে তীব্র ব্যথা: কম বয়সে কোমর ও ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হলে তা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার লক্ষণ হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে যন্ত্রণা শুরু হয় এবং প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়।