বড্ড সুখের মাস পৌষ। নির্মল নীল আকাশ।
ভালো লাগা ছড়িয়ে দিতে দিতে এখলাসপুরের ওপর দিয়ে ছুটে যায় পিনপিনে বাতাস। সেই বাতাসকে ভালোবেসে নিজ থেকেই দু’একটা পাতা ঝরিয়ে দেয় গ্রামের মাঝখানের পাগলা কদম গাছটা। রাতের চেয়ে দিন ছোট হয়ে আসে। তাতে কী? এই ছোট্টমোট্ট দিনের ঝলমলে রোদ ভালোবাসা বিলিয়ে দেয় এইটুকুন তুতুনের নড়বড়ে শরীরে। তুতুনদের রোদ ঝলমল এই দিনগুলোকে নতুন করে রাঙাতে ভিন গ্রাম থেকে ছুটে আসে লোকটা। তেমন কথা বলে না কারও সঙ্গে।
আনমনে হাঁটে। নিচের দিকে চেয়ে। একাকী। একটু পর পর তাকায় আকাশে। ঢেউ খেলানো ধানক্ষেতের বাতাসে। কখনো কাছে ডাকে পিচ্চিদের। তার কাঁধে ঝোলে ব্যাগ। সেই ব্যাগ থেকে রঙিন কাগজ বের করে পুঁচকেদের বানিয়ে দেয় ঘুড়ি। লাগিয়ে দেয় ইয়াব্বড় একেকটা লেজ। যাকে ভালো লাগে লোকটার; তাকে কাঠিতে মোড়ানো সুতোও দিয়ে দেয়। তবে কারও কাছ থেকে টাকা নেয় না।