চট্টগ্রামে লাইনচ্যুত হওয়া তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগনের উদ্ধার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে একটি ওয়াগন উদ্ধার করে লাইনে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুটির উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। লাকসাম থেকে আনা একটি উদ্ধারকারী ট্রেন কাজ করছে।
এদিকে, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনাকবলিত ওয়াগন থেকে পড়ে যাওয়া তেল (ডিজেল) পাশের খালে গিয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. আবিদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন দুর্ঘটনার পর আমি নিজেই দুর্ঘটনাস্থলে সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে উক্ত কমিটি তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। দুর্ঘটনায় কী পরিমাণ তেল ওয়াগন থেকে পড়ে গেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়।’
হালিশহর এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ের গুডস পোর্ট ইয়ার্ডের (সিজিপিওয়াই) স্টেশন মাস্টার আবদুল মালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ওয়াগন উদ্ধারে কাজ চলছে। লাকসাম থেকে আনা একটি ট্রেন এ উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। সকালে তিনটি ওয়াগনের মধ্যে একটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুটি উদ্ধারে কাজ চলমান আছে।’
তিনি আরও জানান, একটি ওয়াগনে থাকা পুরো তেল পড়ে গেছে। আরও দুটির প্রায় অর্ধেক তেল পড়েছে। প্রতিটি ওয়াগনে ৩০ হাজার লিটারের বেশি তেল ধরে। আনুমানিক ৪০-৫০ হাজার লিটার তেল ড্রেন দিয়ে পাশের খালে গিয়ে পড়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, নগরের গুপ্তখাল এলাকার পদ্মা-মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল নিয়ে আসার পথে ইয়ার্ডে ঢোকার সময় ট্রেনের তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হালিশহর এলাকায় রেলওয়ের গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।