রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শরীরে নানা সমস্যা তৈরি হয়। ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় পিউরিন ভেঙে। আর পিউরিন থাকে খাবারে।
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড কিডনির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তবে দেহে খুব বেশি পরিমাণে এই অ্যাসিড তৈরি হলে জমতে থাকে অস্থিসন্ধি ও কিডনিতে। তখন গাউট, কিডনিতে পাথর, মূত্রথলি, কিডনির অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পিউরিন নয়, বরং ফ্রুকটোজ থেকেও বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড। দৈনন্দিন অনেকে খাবার থেকেই বাড়ে ফ্রুকটোজ। এ কারণে কিছু কিছু খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওযা জরুরি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদন বলেছে, প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ খেলে রোগীর ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। এটা হল প্রাকৃতিক সুগার। নানা ফল, সবজি ও পানীয়ে এই উপাদান থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রুকটোজ ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অন্যতম কারিগর। ফলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়বেই। তাই সবার আগে সচেতন থাকা জরুরি। যেসব ফল খেলে সুক্রোজ বাড়ে-
কিশমিশ: আঙুর শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি হয়। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি শরীরের জন্য দারুন উপকারী। তবে এক আউন্স কিশমিশে থাকে প্রায় ৯.৯ গ্রাম ফ্রুকটোজ । তাই গাউট থাকলে এই খাবারটি খাওয়ার আগে দুইবার চিন্তা করা উচিত। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর থেকে সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস থাকলেও সাবধান হওয়া দরকার।
কাঁঠাল : অনেকে কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন। এই ফল খুবই উপকারীও। তবে মাই ফুড ডেটার বলছে, ১ কাপ কাঁঠালে থাকে প্রায় ১৫.২ গ্রাম ফ্রুকটোজ থাকে। তাই এই খাবারটি থেকেও দূরে থাকুন। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। কমবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা।
আঙুর: আঙুর খেলে শরীরের নানা উপকার হয়। এই খাবারটি ভিটামিন সি ও ফাইবারে ভর্তি। এছাড়া এতে ভরপুর ফ্রুকটোজ রয়েছে। লাল বা সবুজ যাই হোক না কেন, এক কাপ আঙুরে প্রায় ১২.৩ গ্রাম ফ্রুকটোজ থাকে। তাই এটাও বুঝে খেতে হবে। তবে এতে রয়েছে রেসভ্রাট্রল এবং কুয়েরসেটিন। এই দুটি অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী।
আপেল : প্রতিদিন আপেল খেলে ১২.৫ গ্রাম ফ্রুকটোজ শরীরে যায়। তবে এই ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে ফাইবার, পলিফেনলস, পটাশিয়াম। এসব শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু গাউটে ভুগলে এই ফলটি বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়।
নাশপাতি : নাশপাতি খুবই উপকারী একটি ফল। পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার। দেখা গেছে, একটি নাশপাতিতে রয়েছে প্রায় ৫ গ্রাম ফাইবার। এটা প্রতিদিনের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ। তবে গাউট থাকলে এই ফল এড়িয়ে যান। কারণ এতে রয়েছে প্রায় ১১.৪ গ্রাম ফ্রুকটোজ।