রাজশাহীতে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক। ইতিমধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠান জায়গা বরাদ্দ পেয়ে হাই-টেক পার্কে কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু দক্ষ কর্মীর অভাব প্রকটভাবেই অনুভব করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। দক্ষ কর্মীর অভাবেই অতিরিক্ত কাজ নিতে পারছে না তারা।
রাজশাহী মহানগরীর পশ্চিম প্রান্তের নবীনগর মৌজায় ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ৩১ দশমিক ৬৩ একর জমিতে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে পাঁচতলা শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভবনে আটটি প্রতিষ্ঠানের কাছে জায়গার বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করা হয়।
এ ছাড়া সেখানে ১০ তলা জয় সিলিকন টাওয়ারের নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে। এ ভবনে স্টার সিনেপ্লেক্সের রাজশাহী শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে সম্প্রতি। এখন ভবনটির শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ চলছে। আর পাশের শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের আটটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন তরুণ-তরুণীরা। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এখানে দক্ষ কর্মীর অভাবই ভোগাচ্ছে। তাই দক্ষ কর্মী তৈরিতে তাঁরাই আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
অ্যারোডেস্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাই-টেক পার্কে নিজেদের অফিস করার জন্য জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে পড়াশোনা করা সুলতান মাহমুদ আনসারী এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। অ্যারোডেস্ক গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়েবসাইট তৈরি, অনলাইন মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের কাজ করে থাকে। অফিসে কাজ করেন ১৭ জন। বাইরে কাজ করেন আরও ৪০ জন। কাজের চাপ প্রচুর থাকলেও দক্ষ কর্মীর অভাবে সব কাজ করা যাচ্ছে না বলে জানান সুলতান।
টেক রাজশাহী নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয় আমেরিকার প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৫ জন কর্মী কাজ করছেন। তাঁদের হয়ে বাইরে কাজ করছেন আরও ২৫ জন। প্রতিষ্ঠানটির ই-কমার্স অ্যাকাউন্ট কো-অর্ডিনেটর গাজিউর রহমান শিহাব আজকের পত্রিকাকে জানান, দক্ষ কর্মী পেতে তাঁদেরও বেগ পেতে হচ্ছে। তাই তাঁরাও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী তৈরি করছেন।