প্যানিক অ্যাটাক এক ধরনের মানসিক সমস্যা। এই রোগে আক্রান্তরা হঠাৎ হঠাৎই ভয় পেয়ে যান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমন কোনও বড় সমস্যা থাকে না। এমনকী কোনও কারণ ছাড়াই এই সমস্যায় আক্রান্তরা ভয় পেতে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা হল অ্যংজাইটি ডিজঅর্ডারের একটি ভাগ।
ভারতীয় গণমাধ্যম 'এই সময়ে' প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্তদের মধ্যে থাকে উৎকণ্ঠা। তারা ছোটখাট বিষয়েই ভয় পেয়ে যান। এমনকী গভীর দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। মনে রাখবেন উৎকণ্ঠার সব থেকে উচ্চ পর্যায়ের সমস্যা হল প্যানিক অ্যাটাক। এ সমস্যা হলে কিছু কিছু লক্ষণ যেমন- হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়,ঘাম হয়, কখনও বমি হয়, বুকে ব্যথা হয়, পা নড়ে, গলা বন্ধ হয়ে আসার মতো অনুভূতি হয়, মাথা ঘোরে, কানে আওয়াজ শোনা যায়, হাত কাঁপে, মৃত্যু ভয় দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যাটাক ৫ থেকে ২০ মিনিট স্থায়ী হয়।
কী করতে পারেন?
মাঝে মাঝেই এই সমস্যা হতে পারে। সেই পরিস্থিতিকে প্রতিরোধ করতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন-
১. এর সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করবেন না
২. যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন
৩. ধীরে শ্বাস নিন, গভীর শ্বাস নিন
৪. এই সমস্যা চলে যাবে, এটা নিজেকে বোঝান
৫. পজিটিভ বিষয়ে চিন্তা করুন
৬. আপনার যে কিছুই হবে না, এটা বোঝাতে হবে নিজেকে।
ঘন ঘন এই সমস্যা হলে প্রতিরোধে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতেই পারেন-
১. অবশ্যই একজন সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বললেই দেখবেন অনায়াসে সমস্যার সমাধান করতে পারছেন।
২. নিয়মিত যোগ্যব্যায়াম করুন । এর মাধ্যমে মনের উপর নিয়ন্ত্রণ আসে।
৩,.কিছু ব্রিদিং টেকনিক অভ্যাস করুন। শ্বাস ছাড়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হন।
৪. নিয়মিত দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
৫. দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে। যেভাবেই হোক এই কাজটা করা দরকার।
৬. ধূমপান করা একবারেই চলবে না।