বাড়ছে ছিনতাইয়ের ঘটনা, অপরাধীদের দমনে কার্যকর অভিযান চালাতে হবে

যুগান্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪৬

রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়টি উদ্বেগজনক। যানবাহনের জানালার পাশে বসে যখন কেউ ফোনে কথা বলেন বা নেট ব্রাউজ করেন, তখন মুহূর্তেই অপরাধীরা ফোনগুলো টান দিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।


সকাল-দুপুর কিংবা সন্ধ্যায় সড়কে অহরহ মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। জানা যায়, রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসবের মধ্যে কম দামি মোবাইলগুলো সরাসরি বিক্রি করা হয়।


আর বেশি দামি বা স্মার্টফোনের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) পরিবর্তনের পর সেগুলো দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেগুলোর আইএমইআই পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, সেগুলো ভেঙে পার্ট পার্ট করে বিক্রি করা হয়। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ছিনতাইকারীরা অর্থ, মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানুষের ওপর আক্রমণও করছে। একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে বা ছিনতাই হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কত ধরনের বিড়ম্বনা ও হয়রানির শিকার হতে হয় তা বহুল আলোচিত। কাজেই কারও মোবাইল ফোন সেট ছিনতাই হয়ে গেলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ নিতে হবে অবিলম্বে।


ছিনতাই বা এ ধরনের অপরাধের মাত্রার তুলনায় অপরাধীদের গ্রেফতার, বিচার ও শাস্তির ঘটনা কম বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ছিনতাইয়ের মুহূর্তে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তিটি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সাহায্য সেভাবে পান না। এসব ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও তেমন কিছু করার থাকে না। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা মামলা করেন না। এসব ক্ষেত্রে কেন ভুক্তভোগীদের মামলা করার আগ্রহ কম তা খতিয়ে দেখা দরকার। যেসব অপরাধী প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অন্য অপরাধীকে সহায়তা করে-সংশ্লিষ্ট সব অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ নেওয়া না হলে সমাজে নতুনমাত্রায় অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ছিনতাইয়ের প্রতিটি ঘটনাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে তৎপর হতে হবে। তা না হলে সারা দেশে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। বেশিরভাগ ছিনতাইকারী হয়ে থাকে নেশাগ্রস্ত। নেশার টাকা জোগাতে তারা এ পথ বেছে নেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us