সর্বশেষ গত বুধবার অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একতরফা নিয়ন্ত্রণ অনেক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান ছিল। এরপরও ভোটাররা যেখানে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, সেই পরিস্থিতির বিবেচনায় তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন বলা যায়। আলোচিত বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম খুবই কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন আওয়ামী লীগের শরিক জাসদের প্রার্থীর কাছে।
কোনো দলের ঢাল না থাকলেও হিরো আলম যে জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন, সেটি ক্ষমতাসীনদের জন্য বিব্রতকর কি না—এমন আলোচনাও উঠেছে। তবে সার্বিকভাবে এই উপনির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ না থাকার বিষয়টি নির্বাচন নিয়ে মানুষের অনাস্থা বা একধরনের প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে।
ভোটের দিনের পরিস্থিতি এবং ফলাফলের যে চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে নির্বাচনের ব্যাপারে মানুষের আস্থা বাড়েনি, বরং কমেছে। বছরখানেক পর যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেই নির্বাচনও একইভাবে হবে কি না—মানুষের মধ্যে সেই সন্দেহ আরও বেড়েছে বলে মনে হয়।