সারা দেশের আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে উদ্বেগ দূর করতে দেশের সব আদালতে সিসি টিভি বসানোসহ বেশ কিছু নির্দেশনাও জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সেসব নির্দেশনার পর থেকেই দেশের অন্যান্য আদালতের মতোই সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।প্রধান বিচারপতির উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরে গত ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ‘অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে এর আগে একাধিকবার দেশের প্রতিটি আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘অধস্তন দেওয়ানি আদালতে মোকদ্দমাগুলোর নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল বা ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি বা নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।
অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।’সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রধান বিচারপতির নির্দেশনার পর থেকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশপথগুলোতে বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি। আগে সুপ্রিম কোর্ট মাজার-সংলগ্ন গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি থাকলেও বর্তমানে একই গেট দিয়ে প্রবেশের পর দ্বিতীয় ধাপে পুলিশ সদস্যরা সন্দেহভাজনদের তল্লাশির পর আদালত এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন।এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটক, মৎস্য ভবন গেট, ন্যায়সরণি এবং সড়ক ভবন গেটেও নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সরব উপস্থিতি রয়েছে।