রাজনৈতিক অর্থনীতিতে পুঁজি একটা সামাজিক সম্পর্ক। সেজন্য পুঁজির মালিকানার জন্য সমাজে সর্বদাই চলছে নানা বিবাদ, ঝগড়া, দখল-বেদখলের লড়াই। বামপন্থীরা একেই সাধারণভাবে অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব বা শ্রেণী সংগ্রাম নাম দিয়েছেন। মার্ক্স দাবি করেছিলেন একটি সমাজের ইতিহাস হচ্ছে শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস। আধুনিক মার্ক্সবাদীরা শ্রেণী সংগ্রামের জটিল রূপকে বোঝার জন্য অর্থনীতি, সমাজ, রাষ্ট্র ও ভাবাদর্শ সব ক্ষেত্রেই মনোনিবেশ করে থাকেন, কারণ সবগুলো রূপেই শ্রেণীদ্বন্দ্ব বিকশিত হয়ে থাকে।
মূলধারার অর্থনীতিতে পুঁজি বলতে বোঝায় উৎপাদিত উৎপাদনের উপায় বা সাধারণভাবে জীবনকে সহজসাধ্য ও আরামদায়ক করার জন্য মানুষের তৈরি করা হাতিয়ার; প্রযুক্তি, এমনকি এক অর্থে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে রোবটও এ সংজ্ঞা অনুসারে এক ধরনের পুঁজি। তার মানে পুঁজি হচ্ছে ‘উৎপাদিত উৎপাদনের উপায়’। একটি ‘বস্তু’। এজন্য ঠাট্টা করে কেউ কেউ বলেছিলেন, একটা বানর যদি একটা লাঠি দিয়ে একটা গাছ থেকে ফল পারে সেটা তাহলে বানরের জন্য উৎপাদিত উৎপাদনের উপায়। কারণ সে তো লাঠিটা কোনো গাছ থেকে ভেঙে তৈরি করছে।