অভিনয়জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস পুরোপুরিই উপভোগ করছেন নীনা গুপ্তা। ওটিটি বা বড় পর্দা সর্বত্র দাপট দেখিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীনা জানালেন, তাঁর অভিনয়জীবনের এই নতুন ইনিংসের কথা। নতুন ইনিংসে তিনি ক্রমাগত চার, ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছেন। প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধিকে নীনা বলেন, ‘সবাই বলছে, আমি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছি। কিন্তু আমি মনে করি, প্রথম ইনিংসই খেলছি। ‘বাধাই হো’ আমাকে প্রথম ব্রেক দিয়েছিল। প্রথম ব্রেক আমার জীবনে দেরিতে এসেছে। তবে এসেছে তো। ‘বাধাই হো’র পর আমার কাছে একের পর এক সুযোগ এসেছে।’
নীনা তাঁর আত্মজীবনী ‘সাচ কহুঁ তো’তে নিজের জীবনের কথা খোলাখুলি বলার সাহস দেখিয়েছেন। এই সাহসিকতার প্রসঙ্গ তুলতেই হেসে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, বইটি লেখার জন্য সাহসের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমি মোটেও সাহসী নই। নিজের পরিবারের কথা লিখতে গিয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেছিলাম। এতটাই ভীতু ছিলাম যে প্রযোজক বা পরিচালকের কাছে কাজ চাইতে পারতাম না।’ নীনা আরও বলেন, ‘একাধিকবার আমাকে ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমার ছবির পোশাক পর্যন্ত প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তখনো এতটুকু সাহস ছিল না যে আমাকে কেন বাদ দেওয়া হলো, সেই নিয়ে প্রশ্ন করব। আজও এর কারণ আমার জানা নেই। তবে আমি মনে করি, যা হয় ভালোর জন্যই। বছর দুই আগে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘টেনেট’ ছবির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎই ছবিটা থেকে বাদ পড়লাম। তখন মন খারাপ হয়েছিল। তবে এর পরপরই ‘শুভ মঙ্গল জ্যাদা সাবধান’ ছবির প্রস্তাব এসেছিল।’
এই আড্ডায় উঠে এসেছিল নীনার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু কথা। এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে নীনা বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনেও আমি বঞ্চনার শিকার হয়েছি। কারুর সঙ্গে এনগেজড ছিলাম। শাড়ি, গয়না কিনে বিয়ের জন্য প্রস্তুত। বিয়ের দিনক্ষণও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই সে ফোন করে জানায় যে তার সাইনাসের অপারেশন হবে। তাই বিয়ে করতে পারবে না। এই যুক্তি শুনে আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। আজ এ ঘটনার ৩০ বছর পার হতে চলল, কিন্তু আজও জানি না সেদিন সে আমাকে কেন ফিরিয়ে দিয়েছিল।’