চট্টগ্রাম বন্দরসহ সারা দেশের সব কাস্টমস হাউস থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টরা। ধর্মঘট শুরু হওয়ার ৭ ঘণ্টা পর এই সিদ্ধান্ত নেন তারা।
লাইসেন্স সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে দুই দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। ধর্মঘটে আজ সকাল ৯টা থেকে সমুদ্র, নদী, স্থল ও বিমানবন্দরে রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
কাস্টমস হাউসের সংশ্লিষ্ট কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনার পর বিকেল ৪টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইমাম হোসেন বিলু দ্য ডেইলিকে বলেন, 'এনবিআর এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই নিয়মগুলো সংশোধন না করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।'
আমদানিকারকদের ভুলের জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের দায়ী না করারও দাবি জানান তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউসে সরেজমিনে গিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থগিত থাকতে দেখা যায়।
শাহী টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাস্টমস থেকে পণ্য খালাসের জন্য আমাদের সিএন্ডএফ এজেন্টদের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু তারা তাদের দাবি আদায়ে প্রায়ই পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।'