শুরুর আগেই বরাদ্দ ছেড়ে দিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। বরাদ্দ পাওয়া বাকি ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগ এখনো কাজ শুরু করেনি। যে দু-একটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, তা-ও চলছে ঢিমেতালে। কেউ মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, কেউ আছে বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধায়। একটি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেলেও ওই প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন হাল সিলেটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণের সুবিধা না থাকা, বিনিয়োগ করা অর্থ উঠে আসা নিয়ে সংশয়, বিশ্ববাজারে মন্দা, ডলার সংকট, প্রকল্প এলাকায় বসবাসসহ অন্যান্য সুবিধা গড়ে না ওঠা, ভালো পরিবেশ না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে আগ্রহে ভাটা পড়েছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি এলাকায় প্রায় ১৬৩ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হচ্ছে এই হাই-টেক পার্ক। এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বাহাটেপাক)। কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্মাণ শেষে আগামী মার্চেই প্রকল্পটি বুঝিয়ে দেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড। এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য অপেক্ষা।
২০১৬ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৩৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর। সম্প্রতি মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন।