আগামী মাস থেকে কার্যকর হচ্ছে গ্যাসের নতুন দাম। এতে সবচেয়ে বেশি বাড়ছে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের বিল। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে এসব বিল পরিশোধ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এতে বছরে পিডিবির খরচ বাড়বে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাড়তি এ খরচের চাপ সামলাতে উদ্বেগে আছে পিডিবি। বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম।
পিডিবি সূত্র বলছে, প্রতি ইউনিট (ঘনমিটার) গ্যাস ব্যবহার করে চার ইউনিট (কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম বেড়েছে ৯ টাকা; অর্থাৎ গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাড়বে গড়ে দুই টাকার বেশি। মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্ধেক আসে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। এতে সামগ্রিকভাবে ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়বে গড়ে এক টাকা।
বাংলাদেশ তৈল গ্যাস খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলার অধীনে থাকা ৬টি বিতরণ সংস্থার কাছ থেকে গ্যাস নেয় পিডিবি। দিনে গড়ে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। বর্তমান দামে (৫ টাকা ৪ পয়সা) বছরে পিডিবির গ্যাস বিল দাঁড়ায় ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের নতুন দাম করা হয়েছে ১৪ টাকা। এতে বছরে পিডিবির গ্যাস বিল দাঁড়াবে ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
গত ১৮ জানুয়ারি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এ দাম ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে। এতে সর্বোচ্চ ১৭৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। বাড়ানো হয়েছে শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতেও। সব মিলিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের গড় দাম ১১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২১ টাকা ৬৭ পয়সা করা হয়েছে। গড়ে বেড়েছে ৮২ শতাংশ।