You have reached your daily news limit

Please log in to continue


স্বাস্থ্য খাতের অস্বাস্থ্যকর চিত্র ও একজন মকছেদুল মোমিন

কথায় বলে, ‘সর্ব অঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিব কোথা’। একটি দেশের যখন সবখানে সমস্যা থাকে, তখন তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করা দুঃসাধ্য বটে। দেশের সেবামূলক সব কটি খাত এখন দারুণ দুর্দশায় নিমজ্জিত। যে জায়গাগুলোতে কোনো রকম অনিয়ম আর দুর্নীতি হওয়ার কথা ছিল না, সেখানেই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি। খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা—মানুষের মৌলিক প্রয়োজনের এই তিন জায়গাকে আমরা স্বাধীনতার এত বছর পরও ঠিক করতে পারিনি। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য এই ব্যর্থতা ভয়াবহ। আমাদের খাদ্য ও পানীয়ে ভেজাল। দুনিয়াতে খাদ্যদ্রব্যে এত ভেজাল আর কোনো জাতি মেশায় কি না, তা আমার জানা নেই। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বেকারি থেকে শুরু করে মুদিখানা, কাঁচাবাজার—কোনো জায়গা থেকেই নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাও ভয়াবহ সময় পার করছে এখন। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পড়ালেখা ও পরীক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। শুধু সার্টিফিকেট-বাণিজ্য করে, এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে ব্যাঙের ছাতার মতো। লাখ লাখ ছেলেমেয়ের সর্বনাশ করছে তারা। হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের জন্য নতুন নতুন ফন্দি-ফিকির বের করছে প্রতিনিয়ত।

সেবামূলক খাতের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সম্ভবত চিকিৎসা খাতে। সরকারি-বেসরকারি দুই জায়গাতেই এখানে চূড়ান্ত অনিয়ম। বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন, এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হয় চিকিৎসাসেবা খারাপ, চিকিৎসকের অত সময় থাকে না ঠিকভাবে রোগের বিবরণ শোনার; নয়তো হাসপাতালের পাওনা মেটাতে পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যায়। এখানকার চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থা না থাকার কারণে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ পাশের দেশ ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করান। আর উচ্চবিত্তদের জন্য যেসব হাসপাতাল—সেগুলো হাতে গোনা—সেখানে যাওয়ার কথা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা কল্পনাও করেন না।

সার্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতির জন্য সরকারের অনেক পদক্ষেপের কথা শোনা যায়, কিন্তু সেগুলো থেকে যে পরিমাণ সুবিধা পাওয়ার কথা সাধারণ মানুষের, সেই পরিমাণ সুবিধা তাঁরা পান না। কেননা, দায়িত্ব অবহেলার পাশাপাশি গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রায়ই জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয় না, নেওয়া হয় সুবিধাভোগী ও প্রভাবশালীদের কী কী লাভ হবে, সেগুলো মাথায় রেখে। ফলে পুরো বিষয়টি একধরনের ‘সিস্টেম লস’-এর মধ্যে পড়ে যায়। সাধারণ মানুষের কাজে লাগে না, এমন ২৩৩টি স্থাপনার খবর সম্প্রতি এসেছে প্রথম আলোর খবরে। সেখানে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অপরিকল্পিতভাবে কোটি কোটি টাকার স্থাপনা তৈরি করেছে, যা আদতে কারও কোনো কাজে আসছে না। ধামরাই উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে ৩ একর জমির ওপর ২০০৬ সালে ৬টি দোতলা ভবন নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি হাসপাতাল। সেই হাসপাতালে কোনো দিন কোনো রোগী ভর্তি হননি। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, বরগুনা, কুমিল্লাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় এমন আরও অনেক হাসপাতাল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে, যেগুলো কোনো কাজে লাগে না। কোথাও চিকিৎসক থাকে না, কোথাও যন্ত্রপাতি নেই, কোথাও আসবাব নেই, কোথাও রোগী নেই। শুধু বিপুল অর্থ অপচয়ের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ফাঁকা দালানগুলো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন