জানুয়ারির প্রথমার্ধে সারাদেশে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বিদ্যমান ছিল। সেই সঙ্গে দেশ ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন। গত কয়েক দিনে সূর্যের কিরণ বেশ স্বস্তি বয়ে এনেছে। জানুয়ারি মাসে দেশে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফেব্রুয়ারি মাসেও শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। এ ছাড়া চলতি মাসের শেষভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তীব্র শীত এবং সেই সঙ্গে সূর্যের প্রখর আলো বিদ্যমান থাকলে গম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, টমেটো, গাজর প্রভৃতি ফসলের ফলন ও বীজ উৎপাদনে সহায়ক হয়। কিন্তু শীতের তীব্রতার সঙ্গে ঘন কুয়াশা জড়িত থাকলে উষ্ণ, কম উষ্ণ বা শীতপ্রধান যে কোনো অঞ্চলের ফসলের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশার কারণে এরই মধ্যে আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষি ফসলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষত, বোরো ধানের চারা হলুদাভ হয়ে শুকিয়ে মারা যাওয়া এবং গোল আলুর জমিতে লেট ব্লাইট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উদ্ভিদে সালোকসংশ্নেষণ ও বাষ্পীভবন ক্ষমতা দ্রুত হ্রাস পেয়ে পাতা বিবর্ণ হওয়া, গাছের বৃদ্ধি থমকে খর্বাকৃতি ধারণ, নেতিয়ে পড়া, মরে যাওয়া ও সর্বোপরি ফলন কম হয়। যেমন- তীব্র ও প্রলম্বিত কুয়াশায় গমের পাতা বিবর্ণ হয়ে গাছ খর্বাকৃতির হয় এবং নেতিয়ে পড়ে। মুগ ও মসুর ডাল, পেঁয়াজ, রসুন প্রভৃতি ফসলের বৃদ্ধি থমকে যাওয়ার লক্ষণ সচরাচর দেখা যায়।