সামসুল ওয়ারেস: গুরুর জন্মদিনে

প্রথম আলো ইকবাল হাবিব প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৫

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্যের প্রথম ক্লাস সেই ১৯৮৪ সালের শেষের দিকে। খানিক বাবরি চুলে চওড়া কাঁধ আর মধ্য উচ্চতার ঋজু ও গম্ভীর এক শিক্ষক প্রথম দর্শনেই ভক্তিজাগানিয়া অনুভূতি জাগ্রত করলেন সবার ভেতর। তারপর ধীরে ধীরে তিনি আমাদের আবিষ্ট করলেন কখনো নান্দনিক দর্শনে, কখনো সংগীতে, ইতিহাস-ঐতিহ্যে কিংবা কৃষ্টি-সংস্কৃতির বহুমাত্রিকতায়, কিন্তু সর্বদা দেশজ চিন্তনে। সেই থেকে তাঁর হাত ধরেই, পথ হাঁটতে লাগলাম পথভ্রষ্ট না হওয়ার তাগিদে। তিনিই আমাদের শিক্ষক গুরু সামসুল ওয়ারেস। জন্ম তাঁর ১৯৪৬ সালের ২১ জানুয়ারি।


হিমায়িত সংগীতের উপমায় স্থাপত্যের অবয়ব অনুভব করা কিংবা চোখ দুটো মুদে ‘এক্সপ্রেশনিজম’, কখনো বা বুঁদ হয়ে অর্ধনিমীলিত চোখে ‘ইম্প্রেশনিজম’ দর্শনের শিল্পচর্চার বোধকে উপলব্ধির প্রয়াস, তাঁর কাছ থেকেই শেখা।


জীবনের সংবেদনশীল উপলব্ধি থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল জীবনাচরণের মাধ্যমে স্থাপত্যের অনুভব আর চর্চার পাঠও অনেকটা তাঁর কাছ থেকেই। এমনকি স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলাম স্যারের সান্নিধ্যে আসাটাও তাঁরই হাত ধরে। বিশ্বাসে ও চর্চায় সত্যনিষ্ঠতা আর সেই সঙ্গে তার আত্নস্থতা যে সঠিক শিল্পবোধের জন্য কত জরুরি, স্থাপত্যাচার্য আর সামসুল ওয়ারেস স্যার উভয়েই ক্রমাগত তাঁদের কর্ম আর জীবনাচরণের মাধ্যমে প্রজন্মান্তরের অনুগামীদের তাগিদ দিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন।


শিল্পভাবনায় বিবিধ কলার পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ততাকে অন্তর্গত করে, তার বিবর্তনের ঐতিহাসিক ভিত্তিতে বর্তমান আর ভবিষ্যৎ স্থাপত্যকলার ‘কবি’ হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করার তাগিদও তাঁর।


এভাবেই পরম শ্রদ্ধার মানুষটি তাঁর যৌবন আর প্রৌঢ়ত্ব তুলে দিয়েছেন অগণিত ভবিষ্যতের বাস্তুকলাবিদদের হাতে। আর তাই, তাঁদের পথপরিক্রমায় সৃষ্ট প্রতিটি অর্থবহ কাজে এই শিক্ষকের অন্তর্গত অংশগ্রহণ রয়েছে, যেমনি আমার বেলায়ও। সেই ১৯৯৫ সালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের পরামর্শক হিসেবে কাজের সময় কমিটির পক্ষে উপদেষ্টা হিসেবে কিংবা স্বাধীনতা–উত্তর বাংলাদেশের প্রথম নগর জলনিসর্গ প্রকল্প ‘ধানমন্ডি লেক’ প্রকল্পের সময় গুরু হিসেবে তাঁর অভিভাবকত্ব স্মরণীয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us