গত ১৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার মুলতুবি বৈঠকে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে-তথ্য দিন, আমি ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই এ কথা বলেছি। দুর্নীতির কথা শুধু মুখে মুখে বললে হবে না’ (যুগান্তর, ১৫ জানুয়ারি)। প্রধানমন্ত্রী যাদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেছেন, তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। তারা কি নিজ দলের নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির তথ্য দেবেন? এমনকি তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির তথ্য দিতেও আগ্রহী হবেন না।
দেশে দুর্নীতি ও দুর্নীতিমূলক কাজ প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি এবং অন্যান্য সুনির্দিষ্ট অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনা এবং পরবর্তী সময়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিষ্ঠা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদকে জমা দেওয়ায় আইনি বিধান রয়েছে। দুর্নীতির তথ্য সরকারপ্রধানকে দিতে হবে কেন?