শিল্প কারখানা ও বিদ্যুৎ খাতে সরবরাহ করা প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও বাড়ল। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে সিএনজি, বাসাবাড়ি ও সার কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়েনি। (সমকাল অনলাইন, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩)। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে দাম বাড়াল সরকার।
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি পণ্যের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের জন্য দাতা গোষ্ঠীর পরামর্শে ২০০৩ সালে এক আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি গঠিত হয়। ২০০৪ সালে স্বাধীন এই কমিশন যাত্রা শুরু করে। এর পর এই কমিশনের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছিল। এর আগে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এসব পণ্যের দাম সমন্বয় করা হতো, যেখানে স্বচ্ছতার অভাব ছিল। বহু বছর পর এই মাসে এসে বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো।
এখন প্রশ্ন, তাহলে বিইআরসি কি অচল হয়ে গেল? তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে সরকার সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। সেখানে বলা হয়, জরুরি কোনো পরিস্থিতিতে সরকার এসব পণ্যের দাম নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করতে পারবে। এই অধ্যাদেশবলেই এসব পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা পেয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ। এই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করবে বিইআরসি। তবে সরকার প্রয়োজনে, জরুরি কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে কখনও কখনও এসব পণ্যের দাম বাড়াতে বা কমাতে পারবে। অর্থাৎ বিইআরসির ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।