দেশে-বিদেশে পাটজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও পাটশিল্প দীর্ঘদিন কেন উপেক্ষিত এবং তার পরিচালন নীতি কেন অস্বচ্ছতায় আবৃত থেকেছে, তা নিয়ে ‘দীর্ঘ দিবস-দীর্ঘ রজনী’ বহু সভা-সেমিনার হয়েছে। আর অন্যদিকে সেই সব সভাস্থলের বাইরে পাটকলগুলো কোমায় থাকা রোগীর মতো ধুঁকেছে।
অবশেষে ‘জীবনযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে’ ২০২০ সালের ১ জুলাই এক সরকারি আদেশে ‘কোমাচ্ছন্ন’ পাটশিল্পের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছিল। ওই দিন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এতে এক দিনেই অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছিলেন।
এর পর থেকে বিজেএমসির আর কোনো কারখানা চালু হয়নি। অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই মাসের ১ তারিখে পাটশিল্পের আনুষ্ঠানিক মৃত্যু হয়েছিল।