কৃষকের লড়াই এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই

সমকাল লাকি আক্তার প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:০৪

বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। অথচ বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের অবস্থা দিন দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। কৃষকের বর্তমান দুর্দশা মৌসুমি নয়; তা অব্যাহত থাকে মূলত সারাবছর। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষক তাঁর কষ্টার্জিত ফসলের ন্যায্য দাম পান না এবং বছরজুড়ে সীমাহীন বৈষম্যের শিকার হন। কৃষকের সংকট নিয়ে সারাবছর আমরা ঘুরেফিরে এসব কথা বলে থাকি।


বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃষকের ফসল উৎপাদনের উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম বাড়লেও প্রকৃত কৃষক উৎপাদন খরচই তুলতে পারেন না। এখানে লাভের গুড় চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে। ফি বছর লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষক নূ্যনতমভাবে বেঁচে থাকার জন্য নতুন করে কাজ শুরু করেন। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, দেশের কৃষক কৃষিকাজই ধীরে ধীরে ছেড়ে দিচ্ছেন।জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, সরকার নির্ধারিত দামে কৃষকদের চাহিদামতো সার দিতে হবে। কৃষি উপকরণের বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে বিএডিসিকে সক্রিয় করতে হবে। বিএডিসির অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমাদের লড়াইয়ের একটি অন্যতম লক্ষ্য হলো কৃষক সমবায় বাজার ব্যবস্থা চালু করা; কৃষককে রেশন দেওয়া ও শস্যবীমা চালু করা। তা ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী মূল্যে ভেজালমুক্ত পোলট্রি, মৎস্য, পশুখাদ্য ও ওষুধ যেন কৃষক পান, সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।


বহুদিন ধরে আমাদের দেশে ভূমি সংস্কারের বিষয়টি উপেক্ষিত। কৃষি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হলে দেশে আমূল ভূমি সংস্কার প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, ভূমি ব্যবহার নীতিমালা কার্যকর করে ভূমি অফিস ও পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম-হয়রানি-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তা ছাড়া জেলায় জেলায় অপরিকল্পিত নদী খনন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদী-খাল-বিল দখল তো আছেই। অনেক ক্ষেত্রে নদী খননের মাটি দিয়ে কৃষিজমি ভরাট করা হয়। এদিকে কৃষি-সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভ্রুক্ষেপ নেই। অনেক সময় ক্ষমতাসীনদের কারণে এ সংকট আরও ঘনীভূত হয়। ভূমি ব্যবহার নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন নেই। ফলে কৃষিজমিতে অবাধে অপরিকল্পিত কলকারখানা ও আবাসন গড়ে উঠছে। কৃষক জমি হারিয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পাড়ি জমাচ্ছেন দেশ-বিদেশের শ্রমবাজারে। কৃষিজমি চলে যাচ্ছে ধনিক শ্রেণির হাতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় কৃষিজমি নিঃশেষ হয়ে যাবে। ভেঙে পড়বে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us