স্বাস্থ্যব্যয়ে উচ্চ হারের লাগাম টেনে ধরার পথ কী

প্রথম আলো সৈয়দ আব্দুল হামিদ প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:০৪

স্বাস্থ্যব্যয়ে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ক্রমাগতভাবে বেড়েই যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস’-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশের মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের প্রায় ৬৯ শতাংশ ব্যক্তির পকেট থেকে খরচ করতে হয়, টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৫৪ হাজার কোটি।


তবে দেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা বাবদ যে বিশাল পরিমাণ টাকা খরচ করছে, তা হিসাবে আনলে এ অঙ্ক আরও অনেক বড় হবে। ১৯৯৭ সালে এ ব্যয় ছিল ৫৬ শতাংশ, যা বেড়ে ২০১২ সালে ৬২ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ৬৭ শতাংশে দাঁড়ায়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৪ শতাংশ খরচ হয় ফার্মেসি বা ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কেনা বাবদ, টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি। তবে হাসপাতালের আন্তবিভাগীয় রোগীর ওষুধের খরচ হিসাবে আনলে ওষুধ বাবদ খরচের অঙ্ক আরও বেশি হবে।


আন্তবিভাগীয় রোগীর খরচ বাবদ ব্যয় হয় ১০ শতাংশ, যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, ডায়াগনস্টিক সেবা, হাসপাতালের বেড বা কেবিন চার্জ এবং সার্জারি-সংক্রান্ত খরচ। অন্যদিকে, ব্যক্তির মোট ব্যয়ের প্রায় ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ বহির্বিভাগীয় রোগীর জন্য ডাক্তারের ফিসহ অন্যান্য খরচ বাবদ এবং ১১ দশমিক ৭ শতাংশ ডায়াগনস্টিক সেবার জন্য ব্যয় হয়।


এ পরিসংখ্যান থেকে সহজে বোঝা যায়, স্বাস্থ্যব্যয়ে ব্যক্তির খরচের লাগাম টেনে ধরতে হলে ওষুধ বাবদ ব্যয় কমাতে হবে। ওষুধ বাবদ উচ্চ ব্যয়ের মূলে একদিকে যেমন রয়েছে গ্যাস্ট্রিক, ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপসহ ওষুধনির্ভর বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি অসুখের ক্রমবর্ধমান উচ্চ হার; পাশাপাশি রয়েছে প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেমের ওপর নানা অনাচারের ফলে নতুন নতুন সংক্রমণ ও অসংক্রামক রোগের আবির্ভাব। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রচণ্ড অসচেতনতার পাশাপাশি অত্যধিক মাত্রায় বায়ু, পানি, শব্দ ও প্লাস্টিক দূষণ এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণ গড়ে ওঠা এবং শহর অঞ্চলে খেলার মাঠ, পার্ক, পাবলিক টয়লেটের অনুপস্থিতি, সমাজ থেকে খেলাধুলা কমে যাওয়া ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে ভেজাল ও দূষিত খাবারে বাজার সয়লাবসহ নানাবিধ কারণে মানবশরীরে বিভিন্ন প্রকার প্রাণঘাতী অসুখ-বিসুখ দানা বাঁধছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ইনজুরি এবং পঙ্গুত্ব বরণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us