অনেক সময় নতুন প্রসাধনী ব্যবহার শুরু করলে ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এক্ষেত্রে প্রসাধনীটি ছুড়ে ফেলে দেওয়ার আগে একটু চিন্তা করুন- এটা কি ত্বক পুনর্গঠনের লক্ষণ!
কারণ ত্বক ভাঙা বা ‘ব্রেকআউটস’ ও ‘পার্জিং’ বা পুনর্গঠনের লক্ষণগুলো প্রায় এক।
‘পার্জিং’ বলতে যা বোঝায়
‘স্কিন পার্জিং’ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। যখন নতুন কোনো পণ্য মুখে ব্যবহার করা হয়, যেমন- রেটিনল বা অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী, তখন ত্বকের ওপরের স্তর উঠে গিয়ে নতুনভাবে গজাতে থাকে। যে কারণে খানিকটা প্রদাহ দেখা দেয়।
এই বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কারেন ক্যাম্পবেল বলেন, “যখন ব্রণ নিরাময়ের জন্য ‘অ্যাক্টিভ’ উপাদান যেমন রেটিনল ব্যবহার করা হয় তখন ব্রণ ভালো না হয়ে আরও বাজে অবস্থায় যায়।”
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “এটা আসলে রেটিনলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ত্বকে ব্যবহার বা মুখে খাওয়ার ক্ষেত্রে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অর্থ হল উপাদানটি ঠিক মতো কাজ করছে।”
মানে ব্রণ তৈরির জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করার পাশাপাশি ত্বক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার চক্র এক্ই সময়ে চলছে।
নিউ ইয়র্ক’য়ের আরেক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জোশুয়া জাইখনার বলেন, “ত্বকে মাখার রেটিনয়েড প্রয়োগের পর কোষের বৃদ্ধির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটা অনেকটা পাইপের ভেতর পরিষ্কার করার মতো করে লোমকূপ পরিশোধিত হতে থাকে।”
লোমকূপ বন্ধ হওয়ার উপাদানগুলো দূর করতে পারলে পরে আর সেটা বন্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে না।