শীতকালের অর্ধেকটা চলে গেছে। পৌষকে বিদায় দিয়ে মাঘ মাস এসে হাজির হয়েছে। শুরু হয়েছে মাঘ। মাঘের শীতের একটা বৈশিষ্ট্য আছে। এ মাসে কুয়াশা থাকে বটে, তবে পৌষের মত তীব্র কুহেলিকা এসে প্রকৃতিকে ঢেকে দেয় না। মাঘে কনকনে ঠাণ্ডা পড়ে।
কনকনে ঠাণ্ডা মানে, আপাত দৃষ্টিতে চারিদিকের সব কিছুই স্বাভাবিক থাকবে, কিন্তু শীতে হাত পা জমে যাবে। বিকাল থেকে শীত বাড়তে থাকে। মাঝ রাতে এসে তাপমাত্রা একটু বেশিই নেমে যায়। সকালের সূর্য এসে শীতকে না-তাড়ানো পর্যন্ত এই কনকনে ঠাণ্ডা দূর হয় না।
সত্যিই যদি শীত অনুভূত হয়, তাহলে বীরত্ব না দেখিয়ে পর্যাপ্ত গরম কাপড়, হাত মোজা, পা-মোজা পরাই শ্রেয়তর। নিজেরা তো পরবেনই, ছোট শিশু এবং বৃদ্ধদের শীত নিবারনের দিকে নজর রাখতে ভুলবেন না। এতে শীত নিবারণ তো হয়ই, মৃত্যুর ঝুঁকিও কমে। আদা, মধু দিয়ে গরম পানি বা হালকা লিকার চা পান করলে শরীর ঈষদুষ্ণ থাকবে।
আগের দিনে প্রৌঢ় এবং বৃদ্ধরা বলতেন, এই শীতকালটা পার করতে পারলে আরও একটা বছর বেঁচে থাকব। শীতকালে রক্তের viscosity (ঘনত্ব, এণ্ডোথেলিয়ামের সঙ্গে আটকে থাকার প্রবণতা) বেড়ে যায়। ফলে ব্রেন স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যায়। বাড়ে মৃত্যুর হারও।