বিপদটা সেখানেই। দরকার ছিল শাসকের চরিত্র বদলের। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? এভাবেই চলছে বহুদিন ধরে। এ সময়-সে সময় কোনোটাই এ দোষ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। উপায় ছিল, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি কেউই। নেতৃত্বে প্রয়োজন ছিল নতুন রক্ত। সুকৌশলে সে রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিকে কেন্দ্র করে শিক্ষাঙ্গন কলুষিত হয়ে উঠছে- এ যুক্তিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে কিংবা ছাত্র রাজনীতি করার পরিবেশ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে ওসব চতুর রাজনীতিবিদের ডাবল লাভ- ল্যাঠা চুকে যায় এবং অন্যদিকে যাঁরা পড়াশোনার জন্য ছেলেমেয়েকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান, সেই অভিভাবকরাও এ সিদ্ধান্তে খুশি। কিন্তু কেউ কখনও খোঁজ নিয়ে দেখেন না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতিকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল কেন তৈরি হয়। গন্ডগোল তৈরি হয়, কেননা সদ্য ভোটাধিকারপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েগুলোকে প্রথম সুযোগেই নিজেদের কব্জায় টেনে নিতে রাজনৈতিক দলগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে; কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে মাথা গুলিয়ে ফেলে বৃহত্তর রাজনীতি। সবচেয়ে বেশি এবং দ্রুত কাজ হবে মনে করে আর্থিক প্রলোভনের সুযোগের হাতছানি ছাত্রছাত্রীদের একেবারে হাতের নাগালে পৌঁছে দেয় তারা। রাজনৈতিক দলের সেই উদ্যোগে রীতিমতো ইন্ধন জোগান একদল শিক্ষক-শিক্ষিকা; যাঁদের পরিচয় কম শিক্ষক, বেশি রাজনীতিবিদ।