‘চাপের মুখে সাংবাদিকতা’

জাগো নিউজ ২৪ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬

সম্প্রতি সমাপ্ত ঢাকা লিট ফেস্টের একটি সেশন ছিল ‘চাপের মুখে সাংবাদিকতা’। আলোচনায় সম্পাদক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা তুলে ধরেছেন দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সব চাপের কথা। এসবের মধ্যে আলোচনায় ওঠে এসেছে আইনী ও রাজনৈতিক চাপ, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা চাপের প্রসঙ্গ এবং অতি অবশ্যই অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথা।


পেশায় দীর্ঘদিন সক্রিয় এই সম্পাদকরা বলেন নি যে, সাংবাদিকতা এদেশে বিপন্ন, বরং বলতে চেয়েছেন যে, সাংবাদিকতা আছে এবং থাকবে লড়াই করেই। তবে অনেক কিছুর মধ্যে মানুষ কী গণমাধ্যমের ওপর আস্থা রাখছে কিনা সেটি বড়ভাবে আলোচিত হয়নি, যদিও ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছেন, পত্রিকা বা টিভিতে প্রচারিত সংবাদ কোনটি পাঠক বিশ্বাসযোগ্য বলে ধরে নেবে, সেই জায়গায় কিন্তু আমাদের ঘাটতি রয়ে গেছে। তিনি মনে করেন সেটিও একটি চাপ।


প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেছেন, দৃশ্যমান শক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি, মামলা হোক, জেলে যেতে রাজি আছি। তবে অদৃশ্য শক্তির কারণে সাংবাদিকদের জীবন হুমকির মুখে। সে জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজকে সহনশীল করতে হবে।


ঠিক এ জায়গাটির ব্যাখ্যা প্রয়োজন। তার কথায় একটা আভাস পাওযা যায় অদৃশ্য জায়গা থেকে সাংবাদিকতাকে বিপন্ন করে তোলা হচ্ছে। সেটা কী, বলা হয়নি। বলতেই হবে যে, দিন বদলেছে। আগে সাংবাদিকের প্রতিবেদন বা সম্পাদকীয় দিয়ে সরকারের সাফল্য বা ব্যর্থতা পরিমাপ করতো জনগণ। সরকারের নীতি সংশ্লিষ্টরাও এসব প্রতিবেদন ও মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতেন। এখন আর সেটা নেই। এখন সাংবাদিকের অবমাননারই সংবাদ সারাদেশে।


অসংখ্য আইন আছে। এর মধ্যে চার বছর আগে এসেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এখন আমরা শুনছি প্রেস কাউন্সিলও আইন করতে চায় সাংবাদিকতাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এর অর্থ হলো, কেউ সাংবাদিকতার বিকাশ চায় না, সব শক্তিই যার যার জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ চায়।


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অসংখ্য সাংবাদিকের গ্রেফতার ও হয়রানির কারণে, আরও বিভিন্ন আইনের প্রয়োগে উদ্বেগ বেড়েছে সাংবাদিকের নিরাপত্তা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে। সামান্য কারণে অথবা অকারণে সাংবাদিকদের গ্রেফতার, পুলিশি জেরা, ভীতি প্রদর্শন, সরকারি বিজ্ঞাপনকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার করায় একটা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ এমনিতেই বিরাজ করছে গণমাধ্যম জগতে। অন্যান্য প্রক্রিয়াও বাদ নেই। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রাজনৈতিক ও ধর্মগোষ্ঠীর পালিত মাস্তানদের পাশাপাশি আমরা দেখেছি জেলা প্রশাসক, ইউএনওরাও কীভাবে সাংবাদিকদের নির্যাতন করতে পারেন, গালাগাল দিতে পারেন।


সংখ্যা অবশ্যই একটি বিবেচ্য বিষয়। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে বিবেচনা করলে মনে হবে চমৎকারভাবে বিকশিত এক জগৎ। কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত অসংখ্য পত্রিকা, অনলাইন, বেতার। টেলিভিশনের সংখ্যাও প্রায় ৪০টি। মনে হবে যেন খুবই সক্রিয় একটা মিডিয়া দুনিয়ায় আছি আমরা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us