চুল মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। তাই এর যতœ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতের পুরো সময় চুলের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় বাড়তি যতœ নিতে হবে। কেননা এ সময় ধুলো-বালি থেকে চুলে অনেক খুশকি দেখা দেয়। সেই সঙ্গে চুল ঝরে পড়া ও রুক্ষ হয়ে যাওয়াও সাধারণ ঘটনা। অনেকেরই শীতে বেশি চুল পড়তে দেখা যায়। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই চুল পড়া রোধ করা সম্ভব। যেমন অ্যালোভেরা জেল, অলিভ অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে হালকা গরম করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে চুলে লাগান। শীতের দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি উপকারে আসে হট অয়েলের মাসাজ। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, বাদাম তেল বা যেকোনো চুলে লাগানোর তেল হালকা গরম করে নিয়ে চুলের গোড়ায় মাসাজ করে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
শীতের দিনে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় মাথার ত্বক ময়েশ্চার হারায়। ফলে কমবেশি সবাই এ সময় খুশকির সমস্যায় ভোগেন। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আধা কাপ অলিভ অয়েল হালকা গরম করে এর সঙ্গে এক ফালি লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ৪৫ মিনিট রেখে হালকা কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার এভাবে চুলের যত্ন নিন। শীতে বেশির ভাগ মানুষের চুল রুক্ষ আর শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ চুলের জন্য আধা কাপ পালং শাক, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করুন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুলে সিল্কি ভাব আসবে ও চুল হবে মসৃণ ও প্রাণবন্ত।