বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ- বিপিএলের ভরা বাজারে ক্রিকেট নয়, আলোচনায় বিতর্ক! যার শুরুটা সাকিব আল হাসানের বিস্ফোরক মন্তব্যে। ‘মানহীন হয়ে পড়েছে বিপিএল।’ সেই বিস্ফোরকে আগুনের ছোঁয়া দিলেন মাশরাফি। ‘বিপিএলের হযবরল অবস্থা!’ নিখাদ সত্য কথা। কিন্তু সত্য মেনে নেওয়ার মানসিকতা আমাদের নেই। সেভাবে গড়ে ওঠে না আমাদের মনন। বিপিএল জৌলুস হারিয়েছে। এ নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই। ফ্রাঞ্চাইজি লিগ-বিপিএল কতটা ক্রিকেট, কতটা বাণিজ্য এই প্রশ্নকে সঙ্গী করেই এর যাত্রা শুরু। সে কারণেই আরেকটা সম্পূরক প্রশ্ন থাকছে। মান পড়ে যাওয়া এই লিগের বাজার মূল্য কী বেড়েছে না কমেছে?
উত্তর যারা দেবেন তারা ব্যস্ত সাকিবের গুগলি সামাল দিতে। সাকিবের দাবি- তিনি বিপিএলের সিইও হলে সব ঠিক করতে তার সময় লাগবে বড়জোর দুই মাস! সাকিব আল হাসানকে সিইওর দায়িত্ব নেওয়ার অগ্রিম প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন বিপিএলের দায়িত্বে থাকা বিসিবির কর্মকর্তারা। সঙ্গে সঙ্গে রিভার্সসুইপ সাকিবের। ‘বিপিএলের সিইও কেন? হলে তো বিসিবির প্রেসিডেন্টই হবো।’ এসব কিছুই মাঠের বাইরে। আর মাঠের ভেতরে যা ঘটছে তাকে ঠিক ক্রিকেট সংস্কৃতির সঙ্গে মেলানো যাবে না। আম্পায়ারের সঙ্গে অশোভন আচরণ। আম্পায়ারের অদক্ষতা। থার্ড আম্পায়ারের চোখ বন্ধ রেখে সিদ্ধান্ত দেওয়া! তার প্রতিবাদে ক্রিকেটারদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া! আম্পায়ারিংয়ে ভুল কমিয়ে আনার জন্য যে ডিআরএস সেটা ব্যবহার করার যন্ত্রপাতি পড়ে আছে। কিন্তু ব্যবহার করার লোক নেই! সব মিলিয়ে মাশরাফির কথাটাই মাস্টারস্ট্রোক- ‘হযবরল’ অবস্থা!