ডলার সংকটে বিদেশ থেকে রমজানের ছয়টি নিত্যপণ্যের (ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজ) আমদানি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। রমজানের পণ্য আমদানির জন্য আলাদাভাবে ডলার মজুত রাখতে ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিলে এর পরিপ্রেক্ষিতে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডলারের সংস্থান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারপরও বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতায় নিত্যপণ্য আমদানির বিল পরিশোধে বিলম্ব ও এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে গত প্রায় তিন মাস এলসি খোলার হারও কমেছে। অথচ আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহে শুরু হচ্ছে রোজা। রমজান সামনে রেখে গত ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে রমজানকেন্দ্রিক নিত্যপণ্য আমদানির এলসি খোলা।
এদিকে পদ্ধতিগত ও মূল্য জটিলতায় সাধারণ কৃষক সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে উৎসাহী হচ্ছেন না। এ সুযোগে ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ টাকায় ধান কিনছেন। সহজ প্রক্রিয়ায় তুলনামূলক বেশি দামে ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে ধান বিক্রি করতেই কৃষক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে চালের বাজার অস্থির হওয়ায় মিলাররা সরকারি গুদামে চালও দিতে চাচ্ছেন না। এবার দেশে রেকর্ড পরিমাণ আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। তারপরও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ধান-চাল সংগ্রহে সরকারের হোঁচট খাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। সরকারি গুদামে মজুত কম থাকলে খাদ্যপণ্যের বাজার কিছুদিন পরপর অস্থির হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।