আমিষ রান্নার অন্যতম উপকরণ রসুন। রান্নার স্বাদ বাড়াতে রসুনের জু়ড়ি মেলা ভার। তবে রান্না স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় করে তোলাই রসুনের একমাত্র গুণ নয়। শরীরের দেখাশোনা করতেও কিন্তু রসুনের ভূমিকা অনবদ্য। কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে। রক্তচাপ বশে রাখতেও এর ভূমিকা কম নয়। নিয়মিত রসুন খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গরমের তুলনায় শীতকালে আরও বেশি করে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। রসুনের মধ্যে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। শরীর ভাল রাখা ছাড়াও বিশেষ কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে রসুন প্রায় বিকল্পহীন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এর অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা কাঁচা রসুন একেবারেই খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে শীতের সকালে এমন কিছু জলখাবার বানিয়ে ফেলুন, যাতে রসুন বেশি মাত্রায় থাকে। রইল এমন কয়েকটি রেসিপির হদিস।
১) টম্যাটো-গার্লিক পাস্তা: শীতের তাজা টম্যাটোর সঙ্গে বেশি করে রসুন বেটে নিন। এ বার কড়াইতে তেল দিয়ে রসুন কুচি ফোড়ন দিয়ে তাতে টম্যাটো রসুনের মিশ্রণ দিয়ে দিন। নাড়াচাড়া করে পরিমাণ মতো নুন আর ইতালীয় হার্বস মিশিয়ে নিন। সেদ্ধ করে রাখা পাস্তা আর ভাপিয়ে রাখা শীতকালীন সব্জি ভাল করে মিশিয়ে নিন। উপর থেকে দিয়ে দিন চিজ়।
২) মেথির পরোটার সঙ্গে রসুনের চাটনি: ময়দার মধ্যে নুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা কুচি, রসুন কুচি ও মেথি শাক কুচি ও পরিমাণ মতো তেল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। লেচি কেটে গিয়ে ভেজে নিন মেথির পরোটা। অন্য একটি প্যানে সাদা তেল গরম করে কুচোনো পেঁয়াজ, বেশি করে রসুন আর বীজ ছাড়ানো শুকনো লঙ্কা আর সামান্য শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিন। এ বার একটি মিক্সিতে রসুনের মিশ্রণের সঙ্গে সামান্য নুন আর তেঁতুলের ক্বাথ্ব মিশিয়ে বেটে নিলেই তৈরি রসুনের চাটনি। শীতের সকালে গরম গরম পরোটার সঙ্গে জমে যাবে রসুনের চাটনি।
৩) চিজ় গার্লিক স্যান্ডউইচ: একটি পাত্রে বেশি করে মাখন নিয়ে তাতে রসুন কুচি, চিলি ফ্লেক্স আর পার্সলে কুচি মিশিয়ে নিন। এ বার দু’টি পাউরুটির মাঝে চিজ় স্লাইস রেখে পাউরুটির দু’পিঠেই মাখনের মিশ্রণ লাগিয়ে ননস্টিক পাত্রে টোস্ট করে নিন। মেয়োনিজ়ের সঙ্গে গরমাগরম পরিবেশন করুন।