আমরা এর মধ্যে ২০২৩ সালে পদার্পণ করেছি। এখন যদি গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের দিকে ফিরে তাকাই তাহলে দেখব, আমরা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছি। এর প্রথম একটা হলো, কভিড-১৯-এর ধাক্কা সামলে আমরা সামনে এগোচ্ছিলাম সেটা তখন কিছুটা মন্থর ছিল। ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা গতি সঞ্চার করেছিল। ২০২২ সালের প্রথম দু-এক মাস আমি বলব মোটামুটি সন্তোষজনক ছিল। তারপর হঠাৎ করে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর চ্যালেঞ্জগুলো আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে।
প্রথমত, অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জগুলো ছিল ব্যাংকিং সেক্টর, দুর্নীতি, সম্পদের অপচয় নিয়ে। আমাদের প্রডাক্টিভিটি কম, এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। আরেকটা চ্যালেঞ্জ, আমরা সন্তোষজনক এমপ্লয়মেন্ট বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারিনি। একটা বিরাট অংশ বেকার, তারা জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না, তার সঙ্গে বহির্বিশ্বের চ্যালেঞ্জ—জ্বালানি তেলের দাম, বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছিল।
এখন বাইরের চ্যালেঞ্জ ও ভেতরের চ্যালেঞ্জ—এই দুটো মিলিয়ে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো আরো বেশি জটিল হয়ে যাচ্ছে। তবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং প্রাইভেট সেক্টরে, বিশেষ করে গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, রপ্তানি খাতের অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি এবং দেশের অন্যান্য বড় শিল্প কিন্তু হাল ছেড়ে দেয়নি, তারাও কিছুটা চেষ্টা করছে, কিছুটা সুসংহত করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ছোট, মাঝারিগুলো ঠিকই আছে, কিন্তু তারা যে খুব বেশি এগোচ্ছে বা এগোনোর জন্য যে সরকার থেকে প্রণোদনা পাওয়া বা ব্যাংক লোন পাওয়া, সেগুলো কিন্তু তারা পাচ্ছে না, তারা এখনো বড় শিল্পের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আছে, পিছিয়ে মানে ওদের গতিটা একটু মন্থর।